মাত্র ছ’দিন! এরই মধ্যে ভারতের শেয়ারবাজার থেকে বিনিয়োগকারীরা খুইয়েছেন ১১.৩১ লক্ষ কোটি টাকা!
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত টানা ছ’দিন পতনের মুখোমুখি হয়েছে এ দেশের শেয়ার বাজার। শেষ দিনে রীতিমতো রক্তবন্যা বয়ে যায় স্টক মার্কেটে। করোনা মহামারীর আবহে সংকটে পড়া অর্থনীতির হাল ফেরা নিয়ে ঘোর সংশয়-সহ আরও বেশ কয়েকটি নেতিবাচক কারণের জেরেই এই লাগাতার অবনমন।
এদিন চলতি মাসের মধ্যে সবথেকে অস্থির ছিল বাজার। বেচাকেনা চলাকালীন এক সময় বিএসই সেনসেক্স এক ধাক্কায় ১,১৫২.১৯ পয়েন্ট পর্যন্ত নেমে গিয়েছিল। যার জেরে সূচক গিয়ে দাঁড়ায় ৩৬,৫১৬.২৩ পয়েন্টে। একই ঘটনা ঘটে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে। আগের দিনের তুলনায় এদিন এক সময় ৩৪০.২৫ পয়েন্ট পর্যন্ত হ্রাস পায় এনএসই।
যদিও দিনের শেষে বাজার বন্ধ হওয়ার সময় সূচকে সামান্য উন্নতি হয়েছে। ১,১১৪.৮২ পয়েন্ট বা ২.৯৬ শতাংশ হ্রাস পেয়ে সেনসেক্স গিয়ে থামে ৩৬,৫৫৩.৬০ পয়েন্টে।
অন্যদিকে, নিফটি ৩২৬.৩০ পয়েন্ট বা ২.৯৩ শতাংশ হ্রাস পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১০,৮০৫.৫৫ পয়েন্ট। সমস্ত ক্ষেত্রগত সূচক রেড জোনেই বন্ধ হয়েছে। গত ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে বিএসই সূচক ২,৭৪৯.২৯ পয়েন্ট হ্রাস পেল। এদিন বৃহত্তর বাজারে বিএসই স্মলক্যাপ এবং মিডক্যাপ সূচক ২.২৮ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস পেয়েছে।
শেয়ার বাজারে ক্রমাগত পতনের ফলে মাথায় হাত লগ্নিকারীদের। গত ৬ দিনে তাঁদের ১১,৩১,৮১৫.৫ কোটি টাকা ধুয়েমুছে গিয়েছে। বর্তমানে বিএসই-তে নিবন্ধিত কোম্পানিগুলির মোট বাজার মূল্য কমে দাঁড়িয়েছে ১,৪৮,৭৬,২১৭.২২ কোটি টাকা। নিফটি সূচকে প্রথম ৫০টির মধ্যে ৪৭টি সংস্থার শেয়ারের দর হ্রাস পেয়েছে। এর মধ্যে ইন্ডাসইন্ড ব্যাঙ্ক, টাটা মোটরস, বাজাজ ফাইন্যান্স, গ্রাসিম সুপার এবং টিসিএস-এর শেয়ার দর সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই সংস্থাগুলির শেয়ার দর হ্রাস পেয়েছে ৫.৪৫ শতাংশ থেকে ৭.৪৫ শতাংশের মধ্যে।