যোগী রাজ্যে নারীসুরক্ষার হাল যে ক্রমশই আরও খারাপ হচ্ছে প্রতিদিন, বারবারই মিলছে তাঁর প্রমাণ। কখনও উন্নাওয়ের আসিফা-কাণ্ড বা বিজেপি বিধায়কের বাড়ি চাকরি চাইতে যাওয়া কিশোরীকে নিগ্রহ, তো কখনও আবার তরুণীকে গণধর্ষণ বা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর হাতে আইনের ছাত্রীর শ্লীলতাহানী-ধর্ষণ — এমনই নানা ঘটনার জেরে বারবারই খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে উত্তরপ্রদেশ। এই করোনা পর্বেও বজায় রয়েছে সেই ধারা। এবার যেমন এক ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটল সে রাজ্যের এক বেসরকারি স্কুলে। কয়েক মাস ধরে তাঁদের বেতন বন্ধ। বেতন চাইলে উলটে ব্ল্যাকমেল করা হচ্ছে। ভয় দেখানো হচ্ছে গোপন ভিডিয়ো ফাঁসের। স্কুলের ওয়াশরুমের গোপন ক্যামেরায় বিভিন্ন সময়ে, সকলের অজ্ঞাতে তুলে রাখা সেই ভিডিয়ো-ছবি। একজন, দু’জন নয়। একসঙ্গে ৫২ জন শিক্ষিকা স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ এনে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন।
ঘটনাটি মেরটের এক বেসরকারি স্কুলের। শিক্ষিকাদের সম্মিলিত অভিযোগের নিশানায় স্কুল পরিচালন কমিটির সম্পাদক। লিখিত অভিযোগপত্রে তাঁরা জানান, স্কুল কমিটির সম্পাদক শৌচালয়ের আপত্তিকর ছবি ও ভিডিয়ো নিয়ে দিনের পর দিন তাঁদের ব্ল্যাকমেল করে যাচ্ছেন। বকেয়া বেতন চাইলে আপত্তিকর ছবি, ভিডিয়োর কথা বলে উনি ভয় দেখাচ্ছেন। বিনা পারিশ্রমিকে তাঁদের কাজ করানো হচ্ছে। বিগত কয়েক মাস ধরে তাঁরা বেতনের একটি টাকাও হাতে পাননি। শিক্ষিকাদের এই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ যৌন হয়রানি (৩৫৪’এ )-সহ আইপিসির ৫০৪ ও ৩৫৪ (সি) ধারায় বুধবার একটি এফআইআর নিয়েছে। যদিও স্কুলের সম্পাদক তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ নস্যাত্ করে দিয়েছেন। ৫২ শিক্ষিকার অভিযোগ খণ্ডন করে তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা যৌন হয়রানির অভিযোগ ভিত্তিহীন। মহিলা ওয়াশরুমের ভিতরে কোনও সিসিটিভি নেই।’ তবে যৌন হয়রানির অভিযোগ অস্বীকার করলেও শিক্ষিকাদের কয়েক মাস ধরে বেতন না পাওয়ার অভিযোগ তিনি মেনে নেন।