গত ৬ মার্চ তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে বলা হয়েছিল, উস্কানিমূলক ভাষণ দেওয়ার পাশাপাশি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতে থাকাকালীন দিল্লীবাসীকে রাস্তায় নেমে এসে বিক্ষোভ দেখাতে ইন্ধন জুগিয়েছেন তিনি। অবশেষে সম্প্রতি দিল্লী হিংসার ঘটনায় উমর খালিদকে গ্রেফতার করে দিল্লী পুলিশ। তবে এবার জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রনেতা উমর খালিদের মুক্তি দাবি করে সরকারের উদ্দেশ্যে বিবৃতি দিয়েছেন দু’শোরও বেশি শিক্ষাবিদ, লেখক এবং চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব।
এঁদের মধ্যে রয়েছেন নোম চমস্কি, মীরা নায়ার, অমিতাভ ঘোষ, সলমন রুশদি, অরুন্ধতী রায়, রত্না পাঠক শাহ, পি সাইনাথেরা। বিশিষ্ট ওই ২০০ জন তাঁদের বিবৃতিতে লিখেছেন, ‘নাগরিকদের সমানাধিকার লঙ্ঘনকারী এনআরসি-সিএএ-র বিরোধিতা করার জন্যই দিল্লি পুলিশ উমর খালিদকে দাঙ্গায় উস্কানির মতো মিথ্যা অভিযোগে গ্রেফতার করেছে। সরকারের উচিত অবিলম্বে তাঁকে মুক্তি দেওয়া। এই কাজ করে দিল্লী পুলিশ তাদের সাংবিধানিক শপথও ভঙ্গ করেছে।’ বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, ‘ফেব্রুয়ারিতে হিংসার ঘটনার পরে সেপ্টেম্বরে মিথ্যা অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া এই সাহসী মানবাধিকার কর্মীর পাশে আমরা আছি।’
প্রসঙ্গত, উত্তর পশ্চিম দিল্লীর সাম্প্রদায়িক হিংসার মামলার চার্জশিটে উমর খালিদ-সহ সিএএ-এনআরসি-বিরোধী আন্দোলনের অনেক নেতাকেই আসামি করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণাধীন দিল্লী পুলিশ। খালিদের বিরুদ্ধে দমনমূলক ইউএপিএ-র ধারাও দেওয়া হয়েছে। খালিদকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। হিংসায় মদতদাতা হিসেবে কংগ্রেসের সলমন খুরশিদ, সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি, বৃন্দা কারাট, সিপিআই (এমএল) নেত্রী কবিতা কৃষ্ণন, ছাত্রনেতা কাওয়ালপ্রীত কৌর, বিজ্ঞানী গওহর রেজা, আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণের নামও চার্জশিটে রাখা হয়েছে।