কৃষি বিলের প্রতিবাদে আজ শুক্রবার ভারত বনধের ডাক দিয়েছে দেশের অধিকাংশ কৃষক সংগঠন। পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বনধের সমর্থনে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ, পথ অবরোধ। বনধের সমর্থনে বাংলাতেও কৃষকদের রয়েছে ধর্না কর্মসুচি।
প্রতিবাদরত কৃষকরা শুক্রবার সকালে দিল্লী-অমৃতসর হাইওয়ে অবরোধ করেন। অযোধ্যা-লখনউ হাইওয়েতে প্রবল যানজটের খবর মিলেছে। পাঞ্জাব ও হরিয়ানায় ধর্মঘট পূর্ণতা পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ সেখানে কৃষকদের সমর্থনে রয়েছে শাসক কংগ্রেস, বিরোধী আম আদমি পার্টি এবং এনডিএ-এর শরিক এসএডি। পাঞ্জাবে ইতমধ্যেই তিনদিনের রেল রোকো কর্মসুচি শুরু করেছেন কৃষকরা। দাবি মানা না-হলে তাঁরা ১ অক্টোবর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য রেল রোকো কর্মসুচি নেবেন বলে হুমকি দিয়েছেন।
এ দিকে, কৃষি বিলের বিরুদ্ধে শুক্রবার ধর্মতলায় গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসবে তৃণমূলের কিষান খেতমজদুর সংগঠন। গোটা রাজ্যে অন্য কৃষক সংগঠনগুলো সেই সময়ে জাতীয় ও রাজ্য সড়ক অবরোধে ব্যস্ত থাকবে। বৃহস্পতিবার রাজ্যের বিভিন্ন গ্রামীণ হাটবাজারে তৃণমূলের কিষান খেতমজদুর সংগঠনের সদস্যরা কৃষি বিলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। সংগঠনের সভাপতি বেচারাম মান্না বলেন, ‘আমরা অন্তত চার-পাঁচ হাজার কৃষক নিয়ে কলকাতায় যাব। প্রয়োজনে আমরা রক্ত দিয়ে পোস্টার লিখে প্রতিবাদ জানাব।’ মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিনের ধর্না-মঞ্চে হাজির হতে পারেন, এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন বেচারাম। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে তৃণমূলের কিষান-খেতমজদুর সংগঠনের ‘মেঠো প্রতিবাদ’ চলাকালীন টেলিফোনেই গোটা রাজ্যের কৃষককূলকে বার্তা দিয়েছিলেন মমতা। আবার ধর্মতলায় সিএএ নিয়ে ধর্না চলাকালীন উৎসাহ দিতে মুখ্যমন্ত্রী হঠাৎই সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন।
অন্যদিকে, কৃষি বিলের প্রতিবাদে বিহারের দ্বারভাঙায় শুক্রবার সকালে মোষের পিঠে চেপে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখায় রাষ্ট্রীয় জনতা দল। তারা ছাড়াও সে রাজ্য কংগ্রেস ও তৃণমূল এই বিলের বিরোধিতা করেছে। কর্নাটক-তামিলনাড়ু হাইওয়েও অবরোধ করা হয়। অবরোধ হয় অযোধ্যা-লখনউ হাইওয়েতেও।