সুশান্ত মামলায় মাদক যোগের তদন্ত করতে গিয়ে এনসিবি অফিসাররা সামনে এনেছেন বলিউড নায়িকাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট। তারপরেই জনসাধারণে প্রশ্ন উঠেছে হোয়াটসঅ্যাপের চ্যাট কি তবে সুরক্ষিত নয়? কিন্তু হোয়াটসঅ্যাপ জানিয়েছে তাদের ডেটা সম্পূর্ণ সুরক্ষিত। গোপন চ্যাট ফাঁস হওয়ার কোনও ঝুঁকি নেই। অভিনেতার মৃত্যুর তদন্তে পুরনো চ্যাট পুনরুদ্ধারের অন্য পদ্ধতির ব্যবহার করেছিলেন তদন্তকারীরা।
হোয়াটসঅ্যাপ বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ব্যক্তিগত মেসেজ ‘এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন’করা আছে। অর্থাৎ মেসেজ কেবলমাত্র দু’জনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। যিনি মেসেজ পাঠাচ্ছেন এবং যাঁর অ্যাকাউন্টে সেই মেসেজ ঢুকছে, শুধু সেই দু’জনই মেসেজ পড়তে বা ডিলিট করতে পারবেন। তৃতীয় পক্ষ সেখানে নাক গলাতে পারবে না। হোয়াটসঅ্যাপ আরও জানিয়েছে, অ্যাকাউন্ট খোলার সময় গ্রাহকের ফোন নম্বর চাওয়া হয়। কাজেই ওই নম্বরের সূত্র ধরেই যে কোনও অ্যাকাউন্টের রেকর্ড থাকে। ব্যক্তিগত মেসেজে কোনও অ্যাকসেস থাকে না হোয়াটসঅ্যাপের।
২০০৫ সালের দীপিকা ও তার ম্যানেজার করিশ্মার চ্যাট ফাঁস হয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গে মেসেজিং অ্যাপ জানিয়েছে সেই সময় হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ এনক্রিপ্টেড করা হত না। চ্যাট সংরক্ষিত থাকত গুগল ড্রাইভ বা আই-ক্লাউডে। সেখানে থেকে মোবাইল ফোন ক্লোনিং টেকনিকে মেসেজ পুনরুদ্ধার করা সম্ভব। অভিনেতার মৃত্যু তদন্তে তেমনটাই করেছে এনসিবি।
মোবাইল ফোন ক্লোনিং অনেক পুরনো পদ্ধতি। গোয়েন্দা সংস্থাগুলি এই প্রক্রিয়ায় ইউজারের ফোনের ডেটা অ্যাকসেস করার চেষ্টা করে বৈধভাবেই। গ্রাহকের মোবাইলের আইএমইআই নম্বর নিয়ে ডোমেন বিশেষজ্ঞরা ফোন ক্লোনিং করেন অর্থাৎ এক ডিভাইসের ডেটা অন্য ডিভাইসে কপি করে ফেলেন। ক্লোনিং শেষ হলে গুগল ড্রাইভ বা আই-ক্লাউডে জমা হয়ে থাকা পুরনো ডেটা উদ্ধার করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। হোয়াটসঅ্যাপ জানাচ্ছে, ক্লোনিং করলে অ্যাকাউন্ট খোলার সময় যে রেজিস্টার্ড নম্বর দেওয়া হয় সেটিও নতুন ডিভাইসে কপি হয়ে যায়। রেজিস্টার্ড নম্বরে আসা টেম্পোরারি কোড ক্লোনড সিমে পৌঁছে যায়, যেখান থেকে তদন্তকারীরা যে কোনও ডেটা অ্যাকসেস করতে পারেন। তবে এই পদ্ধতি শুধু গোয়েন্দারাই ব্যবহার করতে পারবেন।