রাজ্যে ক্ষমতায় এসেই শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যের মতো শিল্পক্ষেত্রেও আমূল পরিবর্তন এনেছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এসেছে বিপুল বিদেশি লগ্নীও। এবার বাংলার ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পের পরিকাঠামো খোলনলচে পাল্টে দিতে চায় রাজ্য সরকার। এ জন্য প্রযুক্তির ব্যবহারে আরও জোর দেওয়া হয়েছে। ওইসব সংস্থার কর্মীদের প্রযুক্তিবান্ধব করে তুলতে প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে রাজ্য। থ্রিডি নকশায় তাঁদের আরও সড়গড় করে তোলা হচ্ছে। কলকাতায় এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে এই পরিকল্পনার কথা জানান রাজ্য শিল্প, অর্থ এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অমিত মিত্র। তিনি আরও জানান, ওয়েবেল এবং ২ডি সফট ওই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত। খরচ হয়েছে প্রায় ৩৪ কোটি টাকা। সাইবার নিরাপত্তায় আরও জোর দেওয়া হয়েছে।
বণিকসভা সিআইআই ১৯তম আইসিটি (পূর্ব)–এর আয়োজন করেছিল। উপস্থিত ছিলেন রাজ্য তথ্যপ্রযুক্তি এবং ইলেকট্রনিক্স দপ্তরের প্রধান সচিব রাজীব কুমার, সিসকো (ভারত এবং সার্ক)–এর প্রেসিডেন্ট সমীর গার্দে, ইনফোসিস (ভারত)–এর বোর্ডের অন্যতম সদস্য ইউ বি প্রবীণ রাও, মাইন্ডট্রির সিইও এবং এমডি দেবাশিস চ্যাটার্জি প্রমুখ। সেখানে অমিত মিত্র জানান, চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে রপ্তানির অঙ্ক ২৪ হাজার ৪৪৩ কোটি টাকা। এই পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন আড়াই লক্ষ তরুণ-তরুণী। শিল্পোদ্যোগীদের কাছে রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে আরও বিনিয়োগের আর্জি জানিয়েছেন তিনি। তিনি জানান, পুরুলিয়া, দুর্গাপুর, কল্যাণী, শিলিগুড়ি-সহ রাজ্যের ১৭টি জায়গায় তথ্যপ্রযুক্তি পার্ক তৈরি।