এবার ভিনধর্মীর সঙ্গে প্রেম বা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়াকে গুণ্ডামি এবং সমাজবিরোধী কাজের সঙ্গে এক সারিতে বসিয়ে দিল গুজরাতের বিজেপি সরকার। গুণ্ডা দমনে পুলিশের হাতে আরও বেশি ক্ষমতা দিতে নতুন আইন আনা হচ্ছে মোদী রাজ্যে। সেই সঙ্গে নতুন করে শাস্তিযোগ্য অপরাধের আওতায় আনা হয়েছে একাধিক কার্যকলাপকে। আর তার মধ্যে রয়েছে ‘লাভ জিহাদ’ও। এ নিয়ে তৈরি হয়েছে জোর বিতর্ক। যদিও ইতিমধ্যেই গুজরাত বিধানসভায় এই নতুন গুণ্ডামি এবং সমাজ বিরোধী কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) বিল পাশ হয়ে গিয়েছে। রাজ্যপাল সই করলেই এই বিলটি আইনে পরিণত হবে।
প্রসঙ্গত, নতুন এই গুণ্ডামি এবং সমাজ বিরোধী কার্যকলাপ প্রতিরোধ বিলে পুলিশের হাতে আরও বেশি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। আগে গুজরাতে গুন্ডামির অভিযোগে কেউ গ্রেফতার হলে, তাঁকে হেফাজতে রাখা যেত ১৫ দিন। এবার সেটা বেড়ে হচ্ছে ৩০ দিন। অর্থাৎ আদালতে পেশ করার পর অসামাজিক কাজের অভিযোগে ধৃত ব্যক্তিদের এখন ৩০ দিনের জন্য হেফাজতে চাইতে পারবে পুলিশ। শুধু তাই নয়, আগে এই ধরনের মামলার ক্ষেত্রে পুলিশকে চার্জশিট পেশ করতে হত ৬০ দিনে। এখন তারা চার্জশিট পেশের জন্য সময় পাবে ৯০ দিন। সেই সঙ্গে এই ধরনের অপরাধে জড়িতদের শাস্তির পরিমাণও বেড়ে হচ্ছে ৭ থেকে ১০ বছর।
এই নতুন আইনে গুণ্ডার নতুন সংজ্ঞাও দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, গুণ্ডা এমন একজন ব্যক্তি যে নিজের ক্ষমতাবলে সমাজের ক্ষতি করে। সেটা এককভাবেই হোক বা দলগতভাবেই হোক। যারা জনজীবনের শান্তি নষ্ট করে এবং অপরাধমূলক কাজ করে তাঁরা সবাই সমাজ বিরোধী। মজার কথা হল, এই অপরাধের তালিকায় সামিল করা হয়েছে লাভ জিহাদকেও। বলা হয়েছে, লাভ জিহাদের মাধ্যমে মহিলাদের শোষণও এই গুন্ডা আইনের অন্তর্গত হবে। অর্থাৎ লাভ জিহাদও শাস্তিযোগ্য অপরাধ হবে। গতকাল বিলটি বিধানসভায় পেশ হওয়ার পর তাতে তীব্র আপত্তি জানায় কংগ্রেস। তাঁদের ধারণা, এই বিলের অপব্যবহার করে ইচ্ছামতো যে কাউকে গ্রেফতার করে দিনের পর দিন হেফাজতে রাখতে পারে পুলিশ।