১৩ মার্চ রাতে কৃষ্ণাঙ্গ মহিলা ব্রেয়োন্না টেলরের বাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিশ। সেইসময় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলিও চালায় পুলিশ। তাঁদের দাবি, তল্লাশির সময় পুলিশ কর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়েছিলেন টেলরের প্রেমিক। তাই আত্মরক্ষার খাতিরে পালটা গুলি চালানো হয়েছিল বলে দাবি মার্কিন পুলিশের। গ্র্যান্ড জুরিও তাঁদের দাবিতে সিলমোহর দিয়েছে। কিন্তু সেই রায় মানতে নারাজ টেলরের পরিবার। তাঁর আইনজীবী ব্রেন কাম্প রায়কে ‘অবমাননাকর’ বলে উল্লেখ করেন।
মার্কিন মুলুকে কৃষ্ণাঙ্গ মহিলার মৃত্যুতে পুলিশের বিরুদ্ধে কোনও চার্জ গঠনই করল না আদালত। এরপরই স্থানীয় সময় বুধবার রাতে ফের আন্দোলনে উত্তাল আমেরিকার লুইসভিলা এলাকা। রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখালেন কৃষ্ণাঙ্গরা। সেই রোষ সামাল দিতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ দুই পুলিশকর্মী। দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এরপরই রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখাতে থাকেন কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিকরা। পুলিশ বাধা অতিক্রম করে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। স্লোগান ওঠে, ‘বিচার নেই, শান্তি নেই’। পুলিশ বাধা দিতে এলে দু’পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। কোথাও কোথাও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। চলে ভাঙচুরও। গোটা ঘটনায় কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেই সময়ই দুই পুলিশ কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। দুজনই জখম নিয়ে হাসপাতালে ভরতি। লুইসভিলা পুলিশ সূত্রে খবর, গুলি ছোঁড়ার অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।