ভারতীয় অর্থনীতির দুরবস্থা দেখেও তাকে চাঙ্গা করার দাওয়াই দিতে না পারায় কেন্দ্রের ব্যর্থতাই দায়ী। আর্থিক বৃদ্ধির পতন রোধে যাদের সাড়া ছিল দুর্বল। এমনটাই দাবি করে চলতি অর্থবর্ষে জিডিপি সঙ্কোচনের পূর্বাভাস বাড়িয়ে দিয়েছে মুডি’জ থেকে ফিচ, ক্রিসিল, কেয়ারের মতো একের পর এক মূল্যায়ন সংস্থা। রাষ্ট্রপুঞ্জের ট্রেড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট রিপোর্টেও এ বছর ভারতের ৫.৯ শতাংশ জিডিপি সঙ্কোচনের পূর্বাভাস মিলেছে। শুধু তাই নয়। রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফে এসেছে একগুচ্ছ হুঁশিয়ারিও। যেমন, অর্থনীতিকে ঘুরিয়ে দাঁড় করানোর নীতিতে গলদ থাকলে, খেসারত দিতে হতে পারে অনেক বেশি। ২০২১ সালে অর্থনীতির কিছুটা উন্নতি হওয়ার কথা, কিন্তু এগিয়ে চলার পথটা থাকতে পারে এবড়োখেবড়ো ও অনিশ্চয়তায় ভরা। বেকারত্ব আরও মাথা তুলতে পারে। দেউলিয়া হতে পারে বহু সংস্থা। দুর্বলতা বহাল থাকতে পারে চাহিদা ও জোগান শৃঙ্খলে। সব মিলিয়ে আত্মবিশ্বাসও থাকতে পারে নড়বড়ে।
তবে এখনও বাড়তে থাকা করোনা সংক্রমণের মধ্যে দাঁড়িয়ে বিশ্ব অর্থনীতি যে গভীর মন্দায়, তা স্পষ্টই বলেছে ইউএন কনফারেন্স অন ট্রেড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (ইউএনসিটিএডি) রিপোর্ট। তাদের অনুমান, এ বছর তা সঙ্কুচিত হবে ৪.৩ শতাংশ। করোনা ছড়াতে শুরু করার আগে যা আশা করা হয়েছিল, তার তুলনায় গোটা পৃথিবীতে উৎপাদন কম হবে ৬ লক্ষ কোটি ডলারেরও বেশি। টাকার অঙ্কে প্রায় ৪৪১ লক্ষ কোটি। তাদের বক্তব্য, কড়া লকডাউনে যাবতীয় উৎপাদন বন্ধ করতে বাধ্য হওয়ায় এ বছর মন্দার আঁচ ভারতেও। তাদের দাবি বহু দেশ, যারা অতিমারির মত সঙ্কটের মোকাবিলার জন্য তৈরি থাকে না, স্বাস্থ্য পরিকাঠামো পলকা, তাদের মানুষের জীবন রক্ষার তাগিদে ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে সচল রাখতে পূর্ণ, কঠোর লকডাউন ছাড়া উপায় থাকে না। ফলে ভাইরাসের মতোই দ্রুত ছড়ায় আর্থিক সঙ্কট।