সুশান্তের মৃত্যুর মামলায় বলেছিলেন, ‘রিয়ার অওকাত নেই।’ বিহারের সেই পুলিশ প্রধান এবার চাকরি থেকে স্বেচ্ছাবসর নিলেন। শোনা যাচ্ছে, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে শাসক জোটের হয়ে লড়বেন গুপ্তেশ্বর পাণ্ডে। সবুজ সঙ্কেত দিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার।
বিহারের নতুন পুলিশ প্রধান হলেন এস কে সিংঘল। মঙ্গলবার সন্ধেবেলা স্বেচ্ছাবসরের লিখিত অনুরোধ পাঠান পাণ্ডে। নীতীশ কুমারের সরকার সম্মতি দেয়। সাধারণত ইস্তফা জমা দেওয়ার পর আমলাদের তিন মাস অপেক্ষা করতে হয়। কাজ চালিয়ে যেতে হয়। তার পরই চাকরি ছাড়া যায়। এক্ষেত্রে সেই সময়সীমার ঘেরাটোপ থেকে পাণ্ডেকে মুক্তি দিয়েছে বিহারের জোট সরকার। খবর, বক্সার জেলার সাহপুর থেকে এনডিএ জোটের প্রার্থী হয়ে বিধানসভা নির্বাচন লড়বেন তিনি।
গুপ্তেশ্বরের রাজনীতিতে আসার ইচ্ছেটা অবশ্য নতুন নয়। এর আগে ২০১৪ সালে একবার এনডিএ’র টিকিটেই ভোটে লড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। বক্সার লোকসভা কেন্দ্র থেকে টিকিট চেয়েছিলেন নীতীশের কাছে। কিন্তু সেবারে বিহারের মুহ্যমন্ত্রী রাজি হননি। শোনা যাচ্ছে, এবার তিনি সবুজ সংকেত দিয়েছেন।
যদিও সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেওয়া বা চাকরি ছাড়া নিয়ে এখনও মুখ খোলেননি গুপ্তেশ্বর। আসলে ভোটে দাঁড়ালে যে বিরোধীরা নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলবে সেটা তিনি ভালই জানেন। তাই একটু রয়েসয়ে এগোতে চাইছেন।
সুশান্তের রহস্যমৃত্যুর পর তাঁর বান্ধবী রিয়ার বিরুদ্ধে পাটনার থানায় এফআইআর করেন বাবা কে কে সিং। সেই তদন্তে বড়সড় ভূমিকা নিয়েছেন প্রাক্তন ডিজিপি পাণ্ডে। এর পর তদন্তভার গেছে সিবিআই-এর হাতে। জেডিইউ এবং বিজেপি দুই দলই এই কৃতিত্ব দাবি করেছে। বিহার ভোটে উল্লেখ্য ইস্যু হচ্ছে এই সুশান্ত মৃত্যু মামলা। বিরোধীদের অভিযোগ, এসবের নেপথ্যেও নাকি ছিলেন এই গুপ্তেশ্বর পাণ্ডে। এই মামলাকে কেন্দ্র করে বিহার বনাম মহারাষ্ট্রের যে অঘোষিত একটা লড়াই দেখা গিয়েছিল, তাঁর নেপথ্যেও নাকি ছিলেন এই গুপ্তেশ্বর পাণ্ডেই।