কৃষি বিল পাশ নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে নালিশ ঠুকতে এ বার রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের দ্বারস্থ হচ্ছেন বিরোধীরা। মঙ্গলবার সংসদ বয়কটের পর বুধবার তাঁরা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করার অনুমতি চান। বিকেল পাঁচটার সময় দেখা করার জন্য বিরোধীদের সময় দিয়েছেন রামনাথ কোবিন্দ। তবে কোভিড প্রোটোকলের কারণে শুধুমাত্র পাঁচজন বিরোধী দলের নেতাকে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে এক আধিকারিক জানিয়েছেন। বিরোধীরা রাষ্ট্রপতিকে কৃষি বিলে সাক্ষর না করার আবেদন করবেন বলে জানা গেছে।
সংসদ বয়কটের কর্মসুচি মেনে বুধবার বিরোধী সাংসদরা রাজ্যসভার অধিবেশনে যোগ দেননি। বিরোধী দলনেতা গুলাম নবি আজাদের চেম্বারে গিয়ে তাঁরা বৈঠক করেন। সেখানেই পরবর্তী রণকৌশল ঠিক করতে তাঁরা আলোচনা করেন।
মঙ্গলবার কৃষি বিল নিয়ে আন্দোলনের ঝাঁঝ আরও বাড়ায় বিরোধীরা। তিনটি দাবি পুরণ না-করা পর্যন্ত তাঁরা রাজ্যসভার অধিবেশন বয়কট করছেন বলে জানান কংগ্রেস সাংসদ গুলাম নবি আজাদ। সংসদ বয়কট তুলে নেওয়ার শর্ত হিসেবে তিনটি দাবি সরকারের সামনে রাখেন তিনি। এক, কৃষকদের স্বার্থরক্ষায় নতুন বিল আনতে হবে, যেখানে নিশ্চিত করা হবে, বেসরকারি উদ্যোগপতিরা ন্যূনতম মূল্যের কমে কৃষিপণ্য কিনতে পারবেন না৷ ন্যূনতম মূল্য ঠিক করতে হবে স্বামীনাথন কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে৷ দুই, ফুড কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া যেটা কিনবে তা যেন কখনই ন্যূনতম মূল্যের নিচে না হয়৷ তিন, সাংসদদের সাসপেনশন প্রত্যাহার করতে হবে। তা না হওয়া পর্যন্ত কৃষি সংক্রান্ত ওই বিলটিতে রাষ্ট্রপতিকে স্বাক্ষর না করার অনুরোধ জানাবেন বিরোধী নেতারা। গত কাল তা নিয়ে ১৭টি দলের তরফে আলাদা করে চিঠিও দেওয়া হয় রাষ্ট্রপতিকে।
এরপরই অধিবেশন কক্ষ থেকে একযোগে ওয়াকআউট করে কংগ্রেস, তৃণমূল-সহ অন্যান্য বিরোধীরা। রাজ্যসভার পর লোকসভাতেও বয়কট করে বিরোধীদের। এই বিষয়ে লোকসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের মুখ্য সচেতক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় অন্য বিরোধী দলগুলির সঙ্গে আলোচনা করেন বলেও মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে জানান রাজ্যসভায় তৃণমূলের দলনেতা তথা প্রধান জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন।