রাজ্যে গরুপাচার কাণ্ডে এবার নজর পড়ল সিবিআইয়ের। সেই জেরেই বিগত কয়েকদিন ধরে কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে চলছে তল্লাশি। বুধবার সকাল থেকে অভিযান চলছে রাজারহাট, সল্টলেক, তপসিয়ায়। এছাড়াও মুর্শিদাবাদের বহরমপুর, লালগোলা এবং শিলিগুড়ি-সহ বিভিন্ন জায়গায়। সিবিআই ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে জেরা করে তথ্য সংগ্রহ করেছে। এই ঘটনায় আরও কে কে জড়িত তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গোপন সূত্রে মারফত গরুপাচার ইস্যুতে আগেই তথ্য সংগ্রহ করেছিল সিবিআই। সেই অনুযায়ী রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে চলছে ম্যারাথন তল্লাশি অভিযোগ। সল্টলেকের সিটি সেন্টার টু’র পাশেই বিএসএফের কর্নেল সতীশ কুমারের বাড়িতেও চলেছে তল্লাশি। তারপরই তাঁর বাড়ি সীল করে সিবিআই। বর্তমানে ওই বিএসএফ কর্নেল কর্মসূত্রে কর্ণাটকে থাকেন। তবে অভিযোগ, এর আগে সীমান্ত এলাকায় কাজ করতেন তিনি। সেই সময় গরু পাচারের ক্ষেত্রে নানাভাবে সাহায্য করেছিলেন সতীশ কুমার। তাঁর বাড়ি থেকেই ইতিমধ্যে বেশ কিছু নথিপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে।
এছাড়াও সিবিআই তদন্তকারীদের হিটলিস্টে রয়েছে মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা ইমানুল এবং ম্যাথিউ নামে আরও এক বিএসএফ কমান্ড্যান্ট। ইতিমধ্যেই ম্যাথিউ এবং ইমানুলকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তবে বর্তমানে ইমানুল ছাড়া পেয়ে গিয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, ৪৫.৫ লক্ষ টাকা ইমানুল ম্যাথিউকে দিয়েছিল। তাঁদের মুখোমুখি জেরা করে আরও নানা তথ্য পাওয়া যেতে পারে বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা।