একেই বলে রাজনীতি! সাতসকালে সংসদ চত্বরে ধর্নারত সাংসদদের সঙ্গে দেখা। তাঁদের সঙ্গে কথা বলা এবং তাঁদের নিজের হাতে চা পান করানো। আর তারপরই ২৪ ঘণ্টার অনশনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে দেওয়া। বিরোধীদের ধর্নার পাল্টা এই চাল দিয়ে কৃষকদের স্বার্থ না দেখে রাজনীতিই করলেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণ সিং। এমনই অভিযোগ করছেন বিরোধীরা। সুযোগ বুঝে টুইট করে ‘বিহার তাস’ খেললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও।
আসলে ‘জোর করে’ কৃষি বিল পাশ এবং ‘বেআইনিভাবে’ সাসপেন্ড করার অভিযোগে রাতভর সংসদের গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধর্নায় রাজ্যসভার আট সাংসদ। গণতন্ত্রের পীঠস্থান সংসদের ‘মর্যাদা লঙ্ঘনের’ অভিযোগে গতকালই এদের ৭ দিনের জন্য সাসপেন্ড করেন চেয়ারম্যান ভেঙ্কাইয়া নায়ডু। যার প্রতিবাদে কাল দুপুরেই গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসেন বিরোধী সাংসদরা। আজ সকালে এই ধর্নারত সাংসদদের রীতিমতো ‘সারপ্রাইজ’ দেন রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান। নিজে চলে যান গান্ধীমূর্তির পাদদেশে। বিরোধী সাংসদদের সঙ্গে কথা বলেন, তাঁদের চা খাওয়ান। অনেকেই তাঁর এই সৌজন্যের প্রশংসা করা শুরু করেন। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টুইট করেন। নিন্দুকেরা অবশ্য বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর টুইটে একাধিকবার বিহারের উল্লেখ থেকেই বোঝা যায়, সামনে বিহারের নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই টুইটটি করা।
এ তো গেল প্রথম পর্ব। প্রধানমন্ত্রীর এই টুইটের কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হয় রাজ্যসভার নাটকের দ্বিতীয় পর্ব। ডেপুটি চেয়ারম্যান চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেন, রবিবার সাংসদরা তাঁর সঙ্গে যে আচরণ করেছেন সেজন্য তিনি ব্যথিত। তাই একদিনের জন্য অনশন করতে চান। ধর্নার পাল্টা অনশনের এই চালে বিরোধীরা আবার রাজ্যসভার অধিবেশন বয়কটের সিদ্ধান্ত নেন। রাজ্যসভায় কংগ্রেসের দলনেতা গুলাম নবি আজাদ জানিয়ে দিয়েছেন, ওই আট সাংসদের সাসপেনশন প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা অধিবেশনে যোগ দেবেন না।এরপরই ওয়াক আউট করেন বিরোধী সাংসদরা।