কৃষি বিল নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা। বিরোধীদের প্রতিবাদে কর্ণপাত না করেই গত রবিবার রাজ্যসভায় ওই দু’টি বিল রীতিমতো গায়ের জোরে পাস করিয়ে নিয়েছে কেন্দ্র। আর তারপরই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে কড়া আক্রমণ শানিয়ে সংসদে পাশ হওয়া কৃষি বিলকে ‘কৃষকদের মৃত্যু পরোয়ানা’ আখ্যা দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। ওই বিলের বিরুদ্ধে দেশ জুড়ে আন্দোলনের পরিকল্পনা করেছে কংগ্রেস ও ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন।
রাহুল জানিয়েছেন, বিতর্কিত দু’টি বিলের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হবে বৃহস্পতিবার থেকে। জেলা স্তরে কৃষকরা বিক্ষোভ মিছিল করবেন। সেই সঙ্গে আগামী দিনে দু’কোটি কৃষকের স্বাক্ষর সংগ্রহ করে পাঠানো হবে রাষ্ট্রপতির কাছে। ১৪ নভেম্বর, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহরুর জন্মবার্ষিকীতে ওই স্বাক্ষর সম্বলিত প্রতিবাদপত্রটি রাষ্ট্রপতির হাতে তুলে দেওয়া হবে।
কংগ্রেস নেতা কে সি বেণুগোপাল বলেন, ‘আগামী ২ অক্টোবর, মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিনে আমরা কৃষক বাঁচাও, কৃষি মজুর বাঁচাও দিবস পালন করব। প্রতি রাজ্যে এবং জেলার সদর শহরগুলিতে মিছিল ও সমাবেশ করা হবে। আমরা অবিলম্বে দু’টি বিল প্রত্যাহার করার দাবি তুলব।’ সোমবার বেণুগোপাল কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীর সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। পরে তিনি বলেন, ‘সরকার যেভাবে সংসদে বুলডোজার চালাচ্ছে, তা মেনে নেওয়া যায় না।’
ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের নেতা রাকেশ টিকায়েত বলেন, আগামী শুক্রবার তাঁদের সংগঠন দেশ জুড়ে প্রতিবাস মিছিল ও পথ অবরোধ করবে। নরেন্দ্র মোদী সরকারকে তিনি বলেন ‘কৃষক বিরোধী’। অল ইন্ডিয়া কিষাণ সংঘর্ষ কোঅর্ডিনেশন কমিটিও ওইদিন বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে। আরও অন্তত ১০ টি ট্রেড ইউনিয়ন তাদের সমর্থন করেছে বলে জানা যায়। আম আদমি পার্টি জানিয়েছে, শুক্রবার পাঞ্জাবে ৩০ টি কৃষক সংগঠনের বিক্ষোভকে তারা সমর্থন করবে। বাংলায় শাসক দলও কৃষি বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামবে।