আট সাংসদের সাসপেনশন প্রত্যাহার করতে হবে। এই দাবিতে মঙ্গলবার রাজ্যসভার অধিবেশন বয়কট করলেন বিরোধীরা। রাজ্যসভায় বিরোধী নেতা গুলাম নবি আজাদ জানিয়ে দিলেন, সাসপেনশন না ওঠালে অধিবেশনে যোগ দেবেন না তাঁরা।
তার পরই ধর্না তুললেন সাসপেন্ড হওয়া আট সাংসদ। সংসদের বাইরে বাগানে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্নায় বসেছিলেন তাঁরা।
এদিন জিরো আওয়ারের পর রাজ্যসভার বিরোধী নেতা গুলাম নবি আজাদ তিনটি দাবি রাখলেন। এক, আট সাংসদের সাসপেনশন তুলে নিতে হবে। দুই, সরকার একটি বিল আনুক, যাতে বেসরকারি সংস্থা কৃষকদের থেকে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি)-র কম দামে ফসল ক্রয় করতে না পারে। সেই এমএসপি নির্ধারণ করবে সরকারই। তিন নম্বর দাবি, এমএস স্বামীনাথন কমিটির সুপারিশ মেনে এমএসপি নির্ধারণ করতে হবে।
সংসদের গান্ধী মূর্তির সামনে সাসপেনশন তোলার দাবিতে বিক্ষোভও দেখান বিরোধীরা। সাসপেন্ড হওয়া সাংসদদের দাবি, শুধু সাসপেনশন তুললে হবে না। কৃষকবিরোধী বিলও প্রত্যাহার করতে হবে।
রবিবার এই জোড়া কৃষিবিল পাশ নিয়ে রাজ্যসভায় হইচই শুরু হয়। ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা তথা প্রধান জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন সহ বিরোধীরা। সোমবার সে কারণে আট বিরোধী সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়। তাঁরা কক্ষ ত্যাগ করতে অস্বীকার করেন। পাঁচবার মুলতুবি হয় রাজ্যসভার অধিবেশন। এর পর সংসদের বাইরে অনির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত ধর্নায় বসেন তাঁরা। মঙ্গলবার রাতভর চলে ধর্না।