এর আগে ১৯৯৮ সালে ‘আগ্রাসী শান্তিপূর্ণ’ ভাবে পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষার জন্য তাঁর পূর্বসূরী অটলবিহারী বাজপেয়ী পেয়েছিলেন সেই পুরষ্কার। এবার বিজেপির দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নোবেল পুরষ্কার পাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী! না না, কয়েক দিন আগেই যে পুরষ্কারের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্টের নাম বাছাই হওয়া নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছিল সেই নোবেল নয়। ডোনাল্ড ট্রাম্পের বন্ধু পাচ্ছেন এই পুরষ্কার পাচ্ছেন শ্লেষাত্মকভাবে। নাম আইজি নোবেল প্রাইজ। কিন্তু কেন তাঁকে এই পুরষ্কার দেওয়া হল?
ওয়াকিবহাল মহল বলছেন, এটিকে পুরষ্কার বলা ঠিক হবে না। কার্যত ব্যঙ্গাত্মকভাবে এই আইজি নোবেল দেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু মোদী কী করলেন? বলা হচ্ছে, ‘করোনা মহামারীর সময় তিনি বিশ্ববাসীকে বোঝাতে পেরেছেন, মানুষের জীবন ও মৃত্যুর উপরে রাজনৈতিক নেতাদের চটজলদি প্রভাব রয়েছে। আর তা বিজ্ঞানীদের চেয়ে বেশি।’ আরও বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদীর চিকিত্সা শিক্ষায় বিশেষ ‘অবদান’ রয়েছে। তবে তিনি একা নন, এ বছর তাঁর সঙ্গে এই পুরষ্কার প্রাপকদের তালিকায় আছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট বলসেনারো, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন-সহ আরও অনেক রাষ্ট্রনায়ক।
প্রসঙ্গত, এই আইজি নোবেল হল অ্যানালস অফ ইমপ্রোবাবল রিসার্চ ম্যাগাজিনের তরফে প্রতি বছর ব্যঙ্গ করে দেওয়া এক ‘নোবেল’ পুরষ্কার, যা বিভিন্ন রাষ্ট্রনেতাদের দেওয়া হয়ে থাকে। সাধারণত, কোনও ঘটনার ব্যঙ্গার্থক দিকটিকে ধরে পুরস্কার প্রাপককে বাছাই করা হয়। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যান্ডার্স থিয়েটারে কয়েক হাজার মানুষের সামনে এই পুরষ্কার প্রদান করেন নোবেলজয়ীরা। একেবারে ঠাট্টার ছলে এই নোবেল পুরষ্কার প্রদান করা হয়৷