বিরোধী এবং শরিক দলগুলির চরম বিরোধিতার মধ্যেই আজ রাজ্যসভায় পাশ হয়েছে কেন্দ্রের নয়া কৃষি বিল। কিন্তু এরপর থেকেই কৃষি ও কৃষক সংক্রান্ত সেই তিনটি বিল নিয়ে ঘরে-বাইরে ব্যাপক চাপে পড়েছে মোদী সরকার। এর মধ্যে বিলকে ‘কৃষক স্বার্থবিরোধী’ আখ্যা দিয়ে পদত্যাগ করেছেন এনডিএ শরিক অকালি দলের প্রতিনিধি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরসিমরত কউর বাদল৷ তাঁর টুইট, “কৃষকদের মেয়ে ও বোন হিসেবে তাঁদের পাশে থাকার জন্য আমি গর্বিত৷” হরসিমরতের প্রশংসা করেছেন ১ কংগ্রেস সাংসদও। এর পাশাপাশি তৃণমূলের তরফেও ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু করা হয়।
রাজ্যসভায় বিল পাশ হতেই বিরোধী সাংসদরা এদিন ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। সেখানে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল কংগ্রেসও। ‘কালা কানুন ওয়াপস লো’ স্লোগান দিতে থাকেন তৃণমূল সাংসদরা। প্রবল হই হট্টগোল শুরু হয়ে যায়। প্যানেল চেয়ারপার্সনের চেয়ারের সামনে দাঁড়িয়ে সংসদের রুল বুক ছিঁড়ে ফেলেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান জাতীয় মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। এমনকি হুঁশিয়ারি এসেছে এনডিএ শরিক শিরোমণি অকালি দলের তরফেও।
বিরোধীদের অভিযোগ, মোদী সরকারের যা নীতি, তাতে বাস্তবে কৃষি বলেই কিছু থাকবে না৷ তাঁদের প্রশ্ন, দেশের মোট কৃষকদের ৮৬ শতাংশই যেখানে ছোট কৃষক, সেখানে তাঁদের কী ভাবে বিশ্বায়নের স্বপ্ন দেখানো হচ্ছে? চাল-ডাল-আটার উপর থেকে সরকারের নিয়ন্ত্রণ উঠলে মজুতদারি, কালোবাজারি বাড়বে। কৃষকদের একাংশের আশঙ্কা, ওই দুই বিল কার্যকর হওয়ার ফলে তাঁরা ন্যায্যমূল্য বা ন্যূনতম সহায়ক মূল্য পাবেন না। কেননা, বিলটিতে কৃষকের উৎপাদিত পণ্য কেনার চুক্তিতে ‘প্রাইস গ্যারান্টি’ বাধ্যতামূলক করার কথা বলা হলেও, ওই দাম কী ভাবে নির্ধারণ করা হবে তার কোনও ব্যাখ্যা নেই।