শুরু হয়ে গেল মাঝেরহাট সেতুর শেষ ধাপের কাজ। নয়া মাঝেরহাট সেতু তৈরি হচ্ছে কেবল স্টেয়ড। সেই কেবল জোড়ার কাজ শুরু হয়ে গেল মাঝেরহাট সেতুতে। এই কাজের জন্যে সুইৎজারল্যান্ড থেকে প্রায় ৮৪ মেট্রিক টন কেবল বা স্ট্র্যান্ড আনা হয়েছে। মোট ৮৪টি ডাক্টের মধ্যে দিয়ে এই ৮৪ মেট্রিক টনের কেবল বা স্ট্র্যান্ড পাঠানো হবে। যা নয়া সেতুর ছয় পিলারের মধ্যে দিয়ে যাবে। সেতুর ভার ধরে রাখবে।
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, বর্তমানে এই সেতুর চাহিদা অনেক। তবে কেবল যথাযথ ভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। মাঝেরহাট পুরনো সেতু ভেঙে পড়ার পরে রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এক বছরের মধ্যে নয়া সেতু চালু হবে। রাজ্যের অভিযোগ ছিল, রেল অনুমতি না দেওয়ায় কাজ দীর্ঘদিন আটকে থাকে। রেল মন্ত্রী পীযূষ গোয়েলকে মুখ্যমন্ত্রী নিজে বিষয়টি দেখতে বলেন। তারপরেই কাজে গতি আসে। এই সেতু চালু হয়ে গেলে বেহালা, নিউ আলিপুরের সঙ্গে দক্ষিণ ২৪ পরগণার মানুষের ভীষণ সুবিধা হবে। এই সেতু চালু হয়ে গেলে যান চলাচলে সুবিধা হবে। এই সেতুর নকশা এমন ভাবে করা হয়েছে যাতে ৩৬০ টন ওজনের গাড়ি চলাচল করতে পারে।
জানা গেছে রেল লাইনের ওপরে থাকা সেতুর কাজ শেষ করা হয়েছে। এখান গার্ডার বসানোর কাজ শেষ। ৭৬ মিটার লম্বা এই গার্ডার মোট ছ’টি অংশে বিভক্ত করা হয়েছিল। সেই অংশ ধাপে ধাপে বসানো হয়েছে রেল লাইনের ওপরে। নয়া মাঝেরহাট সেতু অনেকটাই দেখতে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর মতো। বিদ্যাসাগর সেতু ও নিবেদিতা সেতু হল কেবল স্টেয়ড সেতু। নয়া মাঝেরহাট সেতুর পিলার বা পাইলন অনেক উচুঁ। যা যুক্ত থাকবে কেবল মারফত গার্ডার বা ডেক মারফত।
মাঝেরহাট নয়া সেতু কেবল স্টেয়ড হওয়ার কারণে, যে স্ট্র্যান্ড বা কেবল ব্যবহার করা হচ্ছে তা অত্যন্ত আধুনিক মানের। উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন এই কেবল এইচ ডি কেবল বলেও পরিচিত। এই বিশেষ কেবল বা স্ট্র্যান্ড গুলো একটি মোটা ডাক্টের মধ্যে দিয়ে পাঠানো হবে। সেই ডাক্ট আবার দু’টি প্রান্তে গ্রাউটিং করা হবে। যাতে কেবল টান টান অবস্থায় থাকে। সূত্রের খবর, এই কাজ শেষ করতে প্রায় ৪ মাস মতন সময় লাগবে। রাজ্যের লক্ষ্য চলতি বছরেই এই সেতু তৈরি করে ব্যবহারের উপযোগী করে তোলা