আবারও কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। মা সোনিয়া গান্ধীর চিকিৎসার জন্য গত সপ্তাহেই বিদেশে গিয়েছেন তিনি। ফলে সংসদের বাদল অধিবেশনে যোগ দেওয়া হচ্ছে না তাঁর। এই পরিস্থিতিতে দেশের বাইরে থেকেই টুইট যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছেন তিনি। কৃষি বিল বিষয়ে টুইটারে তাঁর খোঁচা, দেশের কৃষকরা মোদী সরকারের উপর থেকে বিশ্বাস হারিয়েছেন।
রাহুল তাঁর টুইটে দাবি করেছেন, শুরু থেকেই বিজেপি সরকারের কথা ও কাজে ফারাক লক্ষ্য করা গিয়েছে। নোটবন্দী, জিএসটি কার্যকর করা কিংবা ডিজেলের উপর চাপানো মোটা অঙ্কের করের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি লেখেন, এই কারণেই কৃষকরাও এই সরকারের উপর থেকে ভরসা হারিয়েছেন। তাঁর আরও দাবি, কৃষকরা জানেন যে মোদী সরকার তার ‘মিত্র’-দের ব্যবসাবৃদ্ধি ঘটাবে। পাশাপাশি কৃষকদের রুটি-রুজির উপরে আঘাত হানবে।
নয়া কৃষি বিল ইস্যুতে রীতিমতো চাপে রয়েছে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দাবি করেছেন, কৃষকদের ভুল বোঝানো হচ্ছে। এই নয়া বিল কৃষিক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে। এর ফলে কৃষকরা তাঁদের উৎপাদিত ফসল যে কোনও জায়গায় ভাল দামে বিক্রি করতে পারবেন। বৃহস্পতিবার লোকসভায় কৃষি সংক্রান্ত দু’টি বিল ধ্বনি ভোটে পাশ হয়ে গিয়েছে। আগেই এই সংক্রান্ত তৃতীয় বিলটি সংসদের নিম্নকক্ষে ছাড়পত্র পেয়েছিল।
এদিকে, গেরুয়া শিবিরের এক জোটসঙ্গী পাঞ্জাবের শিরোমনি অকালি দল ইতিমধ্যেই এনডিএ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন একমাত্র সদস্য হরসিমরত কৌর বাদল। প্রশ্ন উঠছে হরিয়ানায় বিজেপির জোটসঙ্গী জেজেপিকে নিয়েও। তারাও জোট ছাড়তে পারে বলে জল্পনা তৈরি হয়েছে। সেই দলের দুষ্মন্ত চৌতালা সরকার ছাড়তে পারেন। হরিয়ানায় কৃষক আন্দোলনের প্রভাবেই জোট ছাড়ার চাপ রয়েছে তাঁর দলের উপরেও। বিলের প্রতিবাদে হরিয়ানার পাশাপাশি পাঞ্জাবেও আন্দোলনে নেমেছেন কৃষকরা।