শুক্রবার কুলভূষণ যাদবের মামলার আইনজীবী নিয়োগের ক্ষেত্রে ভারতের আবেদন খারিজ করেছে পাকিস্তান। এর ফলে দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও খারাপ হবে বলেও আশঙ্কা করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা। এর মাঝেই খবর পাওয়া গেল গুজরাত উপকূলে মাছ ধরতে যাওয়া ৫৬ জন মৎস্যজীবীকে ১০টি ট্রলার-সহ অপহরণ করেছে পাকিস্তান। বিষয়টিকে ঘিরে প্রবল উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি গুজরাত উপকূলের অদূরে আন্তর্জাতিক জলসীমার কাছে ট্রলার নিয়ে মাছ ধরছিলেন স্থানীয় এলাকার মৎস্যজীবীরা। আচমকা ভারতের জলসীমায় ঢুকে তাঁদের মধ্যে ৫৬ জন মৎস্যজীবীকে ১০টি ট্রলার-সহ অপহরণ করে নিয়ে যায় পাকিস্তানের মেরিন সিকিউরিটি এজেন্সির সদস্যরা। পরে সমুদ্র সৈকতে ফিরে প্রশাসন ও পুলিশকে এই ঘটনার খবর দেন ওই এলাকা থেকে পালিয়ে আসা অন্য মৎস্যজীবীরা।
এপ্রসঙ্গে গুজরাতের পোরবন্দর মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি জীবনভাই জুঙ্গি বলেন, ‘গুজরাত উপকূলে মাছ ধরার সময় ৫৬ জন মৎস্যজীবীকে অপহরণ করেছে পাকিস্তানের মেরিন সিকিউরিটি এজেন্সি-র সদস্যরা। ওই মৎস্যজীবীরা ভারতীয় সীমান্তের মধ্যে থাকা সত্ত্বেও পাকিস্তানের উপকূলরক্ষীরা তাঁদের জোর করে অপহরণ করে। বর্তমানে ওই মৎস্যজীবীদের করাচি বন্দরে নিয়ে যাওয়ার পর সেখানকার জেলে পাঠানো হয়েছে। জেলের মধ্যে তাঁদের উপর অকথ্য অত্যাচার চালানো হচ্ছেও বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। বিষয়টি কেন্দ্র করে পোরবন্দর এলাকার মৎস্যজীবীদের মধ্যে প্রবল আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। আমরা অবিলম্বে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের কাছে এবিষয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। ওই মৎস্যজীবীদের যাতে তাড়াতাড়ি ট্রলার-সহ ছেড়ে দেওয়া হয় সরকার তার ব্যবস্থা করুক।’