লাদাখে সীমান্তে কি আগের অবস্থা ফেরাতে পারবে মোদী সরকার? সংসদে বিরোধীদের এই প্রশ্নের কোনও জবাব দিতে পারলেন না প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ।
মঙ্গলবার লোকসভায় যে লিখিত বিবৃতি রাজনাথ পাঠ করেছিলেন আজ সেটিই রাজ্যসভায় পড়ে শোনান তিনি। পরে ব্যাখ্যায় কংগ্রেস সাংসদ অ্যান্টনি জানতে চান, সরকার দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রশ্নে যে কোনও ধরনের পদক্ষেপ করতে প্রস্তুত। এর অর্থ কী তা স্পষ্ট করার দাবি করেন তিনি। একই সঙ্গে অ্যান্টনি জানতে চান এপ্রিলে লাদাখের যে পরিস্থিতি ছিল সেই স্থিতাবস্থা কি আদৌ ফিরে আসবে? অ্যান্টনির আগে তাঁরই দলের সাংসদ আনন্দ শর্মা ওই একই প্রশ্ন রাখেন রাজনাথের কাছে। কিন্তু জবাবে এ নিয়ে একটি শব্দ খরচ করেননি রাজনাথ।
দ্বিতীয় প্রশ্নে কংগ্রেস সাংসদ অ্যান্টনি জানতে চান, ‘অতীতে গালওয়ান উপত্যকা নিয়ে কোনও বিতর্ক ছিল না। কিন্তু সাম্প্রতিক সংঘাতের পরে কি ভারতীয় সেনা গালওয়ানে আট নম্বর ফিঙ্গার পর্যন্ত টহল দিতে পারছে না?’ জবাবে রাজনাথ বলেন, ‘এ নিয়েই তো চীনের সঙ্গে লড়াই চলছে। লড়াই শুরু হওয়া আমাদের হাতে থাকলেও, তা শেষ হওয়া আমাদের হাতে নেই।’
চীনের সঙ্গে মস্কোর বৈঠকে পাঁচ দফা ঐক্য-রফা হয়েছে ঠিকই, কিন্তু লাদাখে বরফ পড়ার আগেই যে জট কাটবে না তা ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে মোদী সরকারের কাছে। রাজনাথের কথায়, ‘সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা চলাকালীন ২৯-৩০ আগস্টের রাতে দক্ষিণ প্যাংগং লেক সংলগ্ন কৌশলগত অবস্থানগুলি দখলের ছক করে হামলা চালায় চীনা সেনা। এদের কথা ও কাজের মধ্যে কোনও মিল নেই।’
রাজনাথের ওই বক্তব্যের সূত্র ধরেই বিজেডি সাংসদ প্রসন্ন আচারিয়া সরকারের কাছে জানতে চান, ‘ভারত কি এখনও চীনকে বিশ্বাস করছে? চীন বরাবরই চুক্তি ভেঙে এসেছে। তাই চীনের সঙ্গে কোনও ধরনের সমঝোতা করার আগে সরকারের সতর্ক থাকা উচিত।’ বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, ‘চীনের উচিত ভারতের সঙ্গে ঐকান্তিক ভাবে কাজ করে প্যাংগং লেকের সংঘর্ষ বিন্দু থেকে সেনা প্রত্যাহার করা। আমরা আশা করব চীন, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখাকে মান্যতা দেবে।’