বেশ কিছুদিন ধরেই রেলে বেসরকারি বিনিয়োগ আনতে চাইছে মোদী সরকার। এবার সরকার জানাল, যে বেসরকারি সংস্থা ট্রেন চালাবে, তারা ইচ্ছামতো বিভিন্ন রুটে ভাড়া নিতে পারবে।
এই প্রসঙ্গে রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান ভি কে যাদব বলেন, ‘বেসরকারি সংস্থাগুলিকে ইচ্ছামতো ট্রেনের ভাড়া স্থির করার অধিকার দেওয়া হবে। তবে একই রুটে চলবে এয়ার কন্ডিশনড বাস ও প্লেন। ভাড়া স্থির করার সময় বেসরকারি সংস্থাকে একথা মাথায় রাখতে হবে।’
ভারতে খুবই সংবেদনশীল বিষয় রেলভাড়া। এ দেশের প্রতিটি ট্রেন রোজ যত যাত্রী বহন করে তা অস্ট্রেলিয়ার জনসংখ্যার সমান। দেশের দরিদ্র জনসংখ্যার এক বিরাট অংশ যাতায়াতের জন্য ট্রেনে চড়েন। ফলে বেসরকারি কোম্পানিগুলি নিজেদের ইচ্ছামতো ভাড়া নির্ধারণ করলে যে বিপুল যাত্রী অসুবিধায় পড়বেন সেটা স্পষ্ট।
প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাসে সরকার ঘোষণা করে, বেসরকারি সংস্থাকে ১৫১ টি যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর অনুমতি দেওয়া হবে। নয়াদিল্লী ও মুম্বই রেল স্টেশনের আধুনিকীকরণের দায়িত্বও বেসরকারি হাতে দেওয়ার কথা বলা হয়। এবার যাত্রী ভাড়াও বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানাল সরকার।
রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, অ্যালস্টম এস এ, বম্বার্ডিয়ার ইনকর্পোরেটেড, জিএমআর ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড এবং আদানি এন্টারপ্রাইসেস লিমিটেড ইতিমধ্যে রেলে বিনিয়োগের ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছে। রেল মন্ত্রকের হিসাব মতো আগামী পাঁচ বছরে রেলে ৭৫০ কোটি ডলার বা ৫৫ হাজার কোটি টাকার বেশি বেসরকারি বিনিয়োগ আসতে পারে।