ঢেলে সাজানো হচ্ছে ভারতীয় রেল। স্টেশনগুলিকে রিডেভেলপ করা হচ্ছে, আসছে নয়া প্রযুক্তি। সেই জন্য এবার গ্যাঁটের কড়ি গচ্চা দিতে হবে, এমনই ইঙ্গিত করলেন নীতি আয়োগের সিইও অমিতাভ কান্ত। তিনি জানিয়েছেন খুব শীঘ্রই ইউজার ফিজ নেবে রেলওয়ে। এই প্রথম এরকম কোনও চার্জ বসাতে চলেছে রেল।
বিমানের ক্ষেত্রে যাত্রীদের দিতে ইউজার ডেভেলপমেন্ট ফি( ইউডিএফ)। বিভিন্ন বিমানবন্দরে যাত্রীদের ভিন্ন পরিমাণে ইউডিএফ চোকাতে হবে। এার ৭০০-১০০০ স্টেশনে ইউজার ফিজ নিতে চলেছে রেল। ইউজার চার্জ নেওয়া মানে এবার টিকিটের দামও বাড়বে। যদিও রেলের তরফে বলা হচ্ছে, দেশের সাত হাজার স্টেশনের মধ্যে মাত্র দশ থেকে ১৫ শতাংশ স্টেশনে ইউজার চার্জ নেওয়া হবে।
রেলবোর্ডের সিইও ভিকে যাদব জানান যে খুব অল্প টাকা নেওয়া হবে ইউজার চার্জ হিসাবে। এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি যে সব স্টেশন পুনরায় তৈরি করা হচ্ছে সেখানে ও যেগুলি হচ্ছে না, দুটিতেই সাঁটা হবে। বিশ্বমানের পরিষেবা দিতে গেলে রেলের এই টাকাটি লাগবে বলে তিনি জানান। সমস্ত প্রধান রেলওয়ে স্টেশনকে আপগ্রেড করা হবে বলে জানান রেল বোর্ডের সিইও তথা চেয়ারম্যান।
তবে সব স্টেশনে ইউজার চার্জ নেওয়া হবে না। ১০-১৫ শতাংশ স্টেশনে যেখানে আগামী পাঁচ বছরে ভিড় আরো বাড়বে, সেখানে নেওয়া হবে ইউজার চার্জ। রেলে বেসরকারি পুঁজি আনতে বহুদিন ধরে চেষ্টা করছে কেন্দ্র। প্রাথমিক ভাবে ৫০টি রেল স্টেশনকে রিডেভেলপ করা হবে। সেই স্টেশনের জমিগুলি লিজ দেওয়া হবে বাণিজ্যিক কারণে। রিডেভেলপড স্টেশনগুলিকে বলা হবে রেলোপলিস।
ইতিমধ্যে রেলে বেসরকারিকরণ নিয়ে বিরোধীরা সরব হয়েছে। এবার যাত্রী ভাড়া বাড়ায় রেলের বিরুদ্ধে অনেকেই সোচ্চার হতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী পাঁচ বছরে যাত্রী সংখ্যা অনেকটাই বাড়বে। ফলে স্টেশনে যাত্রী সুবিধা আরও উন্নত করার দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। আর তাই এই নামমাত্র ইউজার চার্জ নেওয়া হবে।