দুর্গাপুজা, বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব বলে কথা। তাই তো মহালয়া মানেই কাউন্টডাউন শুরু করে দেন উৎসবপ্রেমীরা। কিন্তু চলতি বছর যেন একেবারেই অন্যরকম। একে তো মহালয়ার প্রায় মাসখানেকেরও বেশি সময় পর দুর্গাপুজো। আবার তার উপর রয়েছে করোনার দাপট। সব মিলিয়ে মেনেই গঙ্গার ঘাটে ঘাটে চলছে তর্পণ।
একসঙ্গে যাতে বেশি সংখ্যক মানুষ জলে না নামেন, তার জন্য ঘাটের উপর দিকে ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়েছে। এক সারির মানুষ তর্পণ করার পর যাতে অন্য সারির মানুষ তর্পণ করতে পারেন, সেই বিষয়ে নজর রাখা হচ্ছে। এদিকে, বিশ্বকর্মা পুজোর সময় যাতে ডিজে বাজিয়ে কোনও অনুষ্ঠান না হয়, তার ওপর পুলিশের বিশেষ নজরদারি রয়েছে। বিশ্বকর্মা পুজোকে কেন্দ্র করে যাতে কোথাও ভিড় না হয়, সেদিকেও নজর রাখা হচ্ছে।
ঘাটে ঘাটে গোল দাগ কাটা হয়েছে। সেই গোল দাগের ভিতরে দাঁড়াতে হচ্ছে এক একজনকে। মাস্ক ব্যবহারও বাধ্যতামূলক। পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে ঘাটগুলিতে। ভাইরাস যাতে কোনওভাবেই ছুঁতে না পারে, তাই নিয়মে কোনও খামতি নেই। নিরাপত্তার দিকেও কোনও আপস করেনি কলকাতা পুলিশ। মহালয়ায় কলকাতার বহু পুকুর ও সরোবরে তর্পণ করতে পারেন বহু মানুষ। তাই এইবার গঙ্গার ঘাটের সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের নজর রয়েছে শহরের বড় পুকুরগুলো দিকেও। প্রত্যেকটি থানার পক্ষ থেকে নিজেদের এলাকার বড় পুকুরগুলির কাছে মোতায়েন রয়েছে পুলিশ। এই বছর যাঁরা তর্পণ করবেন, তাঁরা যাতে বিভিন্ন ঘাটে ছড়িয়ে পড়েন, সেই ব্যবস্থাও করা হয়েছে। গঙ্গার ৩৭টি ঘাটে রয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।