করোনা আবহে ভারতীয় অর্থনীতির করুণ দশা দেখে একের পর এক মূল্যায়ন ও উপদেষ্টা সংস্থা চলতি অর্থবর্ষে জিডিপি সঙ্কোচনের পূর্বাভাস বাড়ানোর পরে মঙ্গলবার একই পথে হাঁটল এডিবি-ও। তারা জানাল, তা হতে পারে ৯ শতাংশ। বাংলার অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রও অন্তত ১৫ শতাংশ সঙ্কোচনের আশঙ্কার কথা বলেছেন। কেন্দ্রকে একহাত নিয়ে দাবি করেছেন, অসংগঠিত ক্ষেত্রের ক্ষতি ধরলে এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে জিডিপি ২৩.৯ শতাংশ নয়, কমেছে প্রায় ৩২ শতাংশ-৩৩ শতাংশ। এদিকে উদ্বেগ বাড়িয়ে খোদ কেন্দ্রের পরিসংখ্যানেও উঠে এসেছে, আগস্টে রপ্তানি ১২.৬৬ শতাংশ ও আমদানি ২৬ শতাংশ কমেছে।
এডিবির মুখ্য অর্থনীতিবিদ ইয়াসুয়ুকি সাওয়াদার মতে, অতিমারি ঠেকাতে কঠোর লকডাউনের জের পড়েছে ভারতের অর্থনীতিতে। এখন সংক্রমণে রাশ টানা, পরীক্ষা বাড়ানো, চিকিৎসার পরিকাঠামো গড়ায় জোর দিতে হবে সরকারকে। যত দ্রুত সেই কাজ হবে, তত দ্রুত তৈরি হবে ঘুরে দাঁড়ানোর জমি। তবে এডিবির আশঙ্কা, সরকারের কর আদায় কমায় এবং খরচ বাড়ায় চলতি বছরে মাত্রা ছাড়াবে রাজকোষ ঘাটতি। সংস্থাগুলি ঋণ শোধে ব্যর্থ হলে ব্যাঙ্কের অনুৎপাদক সম্পদ চড়বে। ফলে আর্থিক ক্ষেত্রের বিপদ বাড়ছে। চাহিদা না-থাকলে লগ্নি করতে চাইবে না সংস্থাও। অথচ চাহিদায় এখনই গতি ফেরার সম্ভাবনা কম।