করোনা পরিস্থিতিতে দেশে জিএসটি সংগ্রহ ভাল রকম ধাক্কা খেয়েছে। কমেছে সেস সংগ্রহও। অবস্থা এমনই যে রাজ্যগুলির জিএসটি ক্ষতিপূরণ মেটাতে বেগ পেতে হচ্ছে কেন্দ্রকে। এদিকে এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে কেন্দ্রের কাছে দেশের ৩১টি রাজ্য ও কেন্দ্র-শাসিত অঞ্চলের বকেয়া জিএসটি ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,৫১,৩৬৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে বাংলার পাওনা ৭,৭৫০ কোটি টাকা! সোমবার সংসদে এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে এই তথ্য দেন কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর।
বকেয়া জিএসটি মেটানো প্রসঙ্গে ঠাকুর বলেন, ‘জিএসটি কাউন্সিলের ৪১তম বৈঠকে (২৭ অগস্ট) বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছিল এবং চলতি অর্থবছরে জিএসটি ঘাটতি মেটানোর জন্য রাজ্যগুলিকে বাজার থেকে ধার করার দু’টি বিকল্পও দেওয়া হয়েছিল। ঠিক হয়েছিল, কোন বিকল্পটি তাদের পছন্দ তা নিয়ে রাজ্যগুলি তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত জানাবে। সেই অনুযায়ী তাদের ক্ষতিপূরণ, ঋণের পরিমাণ ও সেই ঋণ পরিশোধ সংক্রান্ত আনুসাঙ্গিক বিষয়গুলি নির্ধারণ করা হবে।’
উল্লেখ্য, বাংলা সহ বহু রাজ্য কেন্দ্রের ওই ঋণ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। এ রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র অভিযোগ করেছিলেন, জিএসটি সংক্রান্ত কোনও বিষয়ে কেন্দ্র-রাজ্য বিতর্ক সমাধানের জন্য কাউন্সিলের মধ্যেই একটি ব্যবস্থা করার দাবি রাজ্যগুলি বারবার জানিয়ে আসা সত্ত্বেও সেটা করা হয়নি। এখন রাজ্যগুলির জিএসটি ঘাটতি কেন্দ্র পূরণ না করলে, সংসদকেই সমাধান সূত্র বের করতে হবে।