একুশে শুধুমাত্র বাংলার বিধানসভা নির্বাচন নয়। আগামী বছর আসামেও হতে চলেছে আসামেও বিধানসভা ভোট। ইতিমধ্যেই যা নিয়ে তুঙ্গে রাজনৈতিক উত্তেজনা। তবে এরই মধ্যে উত্তর-পূর্বের রাজ্যটিতে তৈরি হল নয়া সমীকরণ। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বিরোধী উত্তাল আন্দোলনের অন্যতম দুই সংগঠন অল আসাম স্টুডেন্টস ইউনিয়ন ও আসাম জাতীয়তাবাদী যুব-ছাত্র পরিষদ একসঙ্গে মিলে গেল। দুটি সংগঠনেরই বিস্তর প্রভাব রয়েছে আসামের ছাত্র-যুবদের একটা বড় অংশের মধ্যে। নতুন দলের নাম হয়েছে আসাম জাতীয় পরিষদ। প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে বিজেপি ও কংগ্রেস– এই দুই দলের থেকেই দূরত্ব বজায় রেখে চলবে নতুন দলটি।
সোমবার নতুন দলের তরফে সাংবাদিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় গুয়াহাটিতে সেখানে বলা হয়, আসামকে সব দিক থেকে এক নম্বরে নিয়ে যাওয়াই তাঁদের লক্ষ্য। অনেকের মতে, মূলত অহমিয়া জাতিসত্ত্বাকে পুঁজি করেই এগোতে চাইছে নতুন দলটি। জানা গিয়েছে, ১৬ জন আহ্বায়ককে নিয়ে তৈরি হয়েছে কমিটি। তাঁরাই দলের প্রাথমিক সংগঠন গড়ে তোলার প্রক্রিয়া ও অন্যান্য সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে পরিকল্পনা করবেন। দুই সংগঠনের আট জন করে নিয়ে এই প্রস্তুতি কমিটি তৈরি হয়েছে। আসুর নেতা লুরিনজ্যোতি গগৈ টুইট করে বলেছেন, আসামের মানুষের আশা-আকাঙ্খা পূরণের লক্ষ্যেই নতুন রাজনৈতিক দলের জন্ম হয়েছে।
নতুন দলের তরফে বলা হয়েছে, সাম্প্রদায়িকতা, উগ্র জাতীয়তাবাদ, অহমীয়াদের বিরুদ্ধে চলা শাসনকে রুখতেই নতুন দলের জন্ম হয়েছে। অসমের রাজনৈতিক ইতিহাসে ১৪ সেপ্টেম্বর দিনটি ঐতিহাসিক হয়ে থাকবে বলেও দাবি নতুন দলের নেতাদের। পর্যবেক্ষকদের মতে, ভোট এখনও দেরি থাকলেও এই নতুন দল নতুন সমীকরণ তৈরি করতে পারে। বিপুল সংখ্যক জনজাতি অধ্যুষিত রাজ্যে ছোট ছোট সেন্টিমেন্ট কাজ করতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা।