করোনা আবহের মধ্যেও শহরের রাস্তাঘাট সারাইয়ের কাজে কোনো ব্যাঘাত যাতে না ঘটে, আজ তারই প্রতিশ্রুতি দিলেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী তথা কলকাতা পুরনিগমের মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। তিনি জানিয়েছেন আগামী মাসে পুজোর আগেই শহরবাসীকে ঝাঁ চকচকে রাস্তা উপহার দেওয়া হবে। বস্তুত শহরের রাস্তার হাল-হকিকত নিয়ে মঙ্গলবার কলকাতা পুরভবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়। পুরসভার বিভিন্ন বিভাগীয় আধিকারিক ছাড়াও পিডব্লিউডি, কেইআইআইপি সহ বিভিন্ন সংশ্লিষ্ট এজেন্সির আধিকারিকেরাও উপস্থিত ছিলেন সেই বৈঠকে।
এদিনের বৈঠক শেষে ফিরহাদ হাকিম জানান, “অনেক জায়গায় কেইআইআইপি ভূগর্ভস্থ পাইপলাইনের কাজ চালাচ্ছে। তাই সেখানে রাস্তায় কিছুটা সমস্যা রয়েছে। সেই সমস্যা সমাধানে আরও কয়েক মাস সময় লাগবে। কিন্তু, পুজোর আগেই মহানগরের রাস্তাঘাট একদম ঝাঁ চকচকে করা হবে। ১৫ অক্টোবরের মধ্যে সব কাজ শেষ হয়ে যাবে। সেই মতই আধিকারিকদের পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
কলকাতা পুরনিগম সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরকর্তৃপক্ষের হাতে থাকা শহরের ২৬টি রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। সেগুলি দ্রুত সারাই করা হবে। যদিও উম্পুন পরবর্তী সময়ে শহরের বিভিন্ন রাস্তাঘাট সংস্কারের কাজে হাত লাগিয়েছে পুরনিগম। ইতিমধ্যে একাধিক রাস্তায় প্যাচওয়ার্কের কাজও সম্পন্ন হয়েছে। বিভিন্ন ওয়ার্ডের অলিগলিতেও রাস্তা সারাইয়ের কাজ চলছে। সামগ্রিকভাবে সব রাস্তা সংস্কার করতে পুরনিগমের প্রায় ৩০ কোটি টাকার প্রয়োজন। ২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাই টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ করতে বলা হয়েছে।
এর বাইরেও কলকাতা পোর্ট ট্রাস্ট, কেএমডিএ, পিডব্লিউডি এবং সেচদফতরের হাতে থাকা রাস্তাগুলির দ্রুত ঠিক করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানিয়েছে কলকাতা পুরনিগম। পোর্ট ট্রাস্টের হাতে থাকা হাইড রোড, স্ট্র্যান্ড ব্যাঙ্ক রোড, ট্রান্সপোর্ট ডিপোর্ট সহ ৯টি রাস্তার অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। সেই ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছেন পুরমন্ত্রী।
এরই পাশাপাশি, সেচদফতরের হাতে থাকা রাইচরণ সাধুখাঁ রোড, এম এন গাঙ্গুলি রোড এবং টি কে মুখার্জি রোড ঠিক করার জন্যও বলা হয়েছে। তারাতলা রোড, ডায়মন্ড হারবার রোডের আংশিক, দমদম রোড, বিটি রোড, আরজিকর রোড, ক্ষুদিরাম বসু সরণি রয়েছে পিডব্লিউডি’ র অধীনে। সেগুলিও পুজোর আগেই সংস্কার করতে বলা হয়েছে।