সুশান্তের মৃত্যুর ঘটনায় মাদক যোগের তদন্তে নেমে গতকাল মুম্বই থেকে আরও ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। এই নিয়ে ১৬ জনকে গ্রেফতার করেছে নারকোটিক্স ব্যুরো। রবিবার গ্রেফতার হওয়া এই ৬ জনের বিরুদ্ধে মাদক সেবন এবং ড্রাগ পেডলারদের সঙ্গে যোগাযোগের অভিযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছে এনসিবি। যে ৬ জনকে গতকাল গ্রেফতার করা হয়েছে তারা হল করমজিৎ সিং আনন্দ, ডয়েন ফার্নান্ডেজ, সঙ্কেত পটেল, অঙ্কুশ আনরেজা, সন্দীপ গুপ্তা এবং আফতাব ফতেহ আনসারি।
এনসিবি সূত্রে খবর, সুশান্ত মামলায় মাদক যোগের তদন্ত করতে গিয়ে এই ৬ জনের নাম বারবার উঠে এসেছে। এদের সকলের বিরুদ্ধেই এনডিপিএস অ্যাক্টে মামলা রুজু হয়েছে। এদের মধ্যে করমজিৎ সিং আনন্দ মূলত ড্রাগের যোগান দিত বলে এনসিবি সূত্রে জানা গিয়েছে। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গেও বেশ ভালই যোগাযোগ ছিল করমজিতের।
এদের মধ্যে সন্দীপ গুপ্তা আগে ছিল রিকশা চালক। তবে বিপুল পরিমাণে ড্রাগ একসঙ্গে ডিলারদের ডেরায় পৌঁছে দেওয়ায় তার জুড়ি মেলা ভার। ফার্নান্ডেজের মতো ড্রাগ পেডলারদের মাদক সরবরাহ করত সন্দীপ।
অন্যদিকে ডয়েন ফার্নান্ডেজ কিউরেটেড মারিজুয়ানা এবং হাসিসের কারবার করত। রিয়া চক্রবর্তীর ভাই শৌভিকের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল ফার্নান্ডেজের। এনসিবির তদন্তকারী আধিকারিকদের অনুমান, সম্ভবত সুশান্তের জন্য মাদকের যোগান দিত এই ডয়েন ফার্নান্ডেজ। এছাড়াও সঙ্কেত পটেল কাজ করত করমজিতের সঙ্গে। বলিউড সেলেবদের মাদকের যোগান দেওয়াই ছিল তার মূল কাজ।
এছাড়াও অঙ্কুশ আনরেজা মুম্বইয়ের পোশ এলাকায় একটি রেস্তোরাঁ চালায়। সেই সঙ্গে হাই প্রোফাইল ক্লায়েন্টদের মাদক সরবরাহ করা তার আর একটি পেশা। নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর এক তদন্তকারী আধিকারিক মারফত এইসব তথ্য জানা গিয়েছে। ওই আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, অঙ্কুশ আনরেজা মূলত সঙ্কেত পটেলের থেকে ড্রাগ কিনত। এই দু’জনের সঙ্গে সুদৃঢ় যোগাযোগ ছিল অনুজ কেশওয়ানই। এই অনুজ কেশওয়ানিও এই কেসে সদ্যই গ্রেফতার হয়েছে এনসিবির হাতে।