আগামীকাল থেকেই সংসদে শুরু হচ্ছে বাদল অধিবেশন। কিন্তু তার আগে করোনা আবহে বাতিল হয়েছে সর্বদল বৈঠকে। এর বদলে আজ স্পিকার সংসদের বিজনেস অ্যাডভাইসরি কমিটির বৈঠক হয়। আর এদিকে, নিয়মের ঘেরাটোপে সংসদের চেনা চিত্র বদলাতেই বিতণ্ডায় জড়ালেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কংগ্রেস সাংসদ তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে প্রথামত আজ লোকসভার স্পিকার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সাথে বৈঠক করেন। যেহেতু প্রবীণ নাগরিকদের করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে, তাই সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের বেশ কিছু নেতা এই অধিবেশনে থাকবেন না। তাঁর জায়গায় আজ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের মুখ্য সচেতক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
করোনার কারণে সংসদে নতুন নিয়ম, কোনও সাংসদ দাঁড়িয়ে বক্তব্য রাখতে পারবেন না। বসেই তাঁদের কথা বলতে হবে। আজকের বৈঠকেও সেই নিয়ম পালন হচ্ছিল। কিন্তু স্বভাবগত কারণে কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী দাঁড়িয়ে বক্তব্য রাখছিলেন। আর এভাবে নিয়মভঙ্গের ফলেই মেজাজ হারান কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
বক্তব্য রাখার ক্ষেত্রে অধীরবাবুকে কেন বিশেষ ছাড় দেওয়া হবে, সেই অভিযোগে সরব হন শ্রীরামপুরের সাংসদ। অধীরও পাল্টা আক্রমণ করেন। ক্রমশ কল্যাণ বাবু এবং অধীর চৌধুরী বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে যায় যে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি দেন। অধিবেশনের শুরুতেই যুযুধান দু’পক্ষের বাগবিতণ্ডা দেখে বোঝাই যাচ্ছে, আগামী দু’সপ্তাহ আরও উত্তপ্ত হতে চলেছে পার্লামেন্টের বাদল অধিবেশন।