অক্সফোর্ডের টিকার ট্রায়ালে রোগীর উপসর্গ নিয়ে এই প্রথম্বার মুখ খুলল ব্রিটিশ-সুইডিশ ফার্ম অ্যাস্ট্রজেনেকা। জানা গেছে, অক্সফোর্ডের টিকার ডোজে জটিল স্নায়বিক রোগ দেখা গিয়েছিল মহিলা স্বেচ্ছাসেবকের। তাঁর শিরদাঁড়ায় মারাত্মক ব্যথা ছিল। নিউরোলজিক্যাল রোগের উপসর্গও দেখা দিয়েছিল।
অক্সফোর্ডের ফর্মুলায় ডিএনএ ভেক্টর ভ্যাকসিন তৈরি করেছে অ্যাস্ট্রজেনেকাও। এই টিকার ডোজে এক স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে অজানা রোগ দেখা দিয়েছিল বলে জানিয়েছিল এই ভ্যাকসিন নির্মাতা সংস্থা।
সংস্থার সিইও পাস্কাল সরিয়ট বলেছেন, “টিকার ইঞ্জেকশন দেওয়ার কিছুদিন পরেই স্পাইনাল ইনফ্ল্যামেশন হতে শুরু করে মহিলার। তীব্র প্রদাহ তৈরি হয় স্নায়ুর কোষে। মনে করা হচ্ছে তিনি ট্রান্সভার্স মায়েলিটিস রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন”।
অ্যাস্ট্রজেনেকার মুখপাত্র ম্যাথিউ কেন্ট বলেছেন, যে মহিলার রোগ ধরা পড়েছিল তিনি এখন অনেকটাই সুস্থ। তাঁকে হাসপাতাল থেকে ডিসচার্জ করে দেওয়া হবে। অ্যাস্ট্রজেনেকার বক্তব্য, কী কারণে ওই মহিলার শরীরে এমন রোগ দেখা দিয়েছিল তার পরীক্ষা চলছে।
প্রসঙ্গত, ট্রান্সভার্স মায়েলিটিস রোগে শিরদাঁড়ার দু’পাশে যন্ত্রণা হয় রোগীর। স্পাইনাল কর্ডের স্নায়ুতে তীব্র প্রদাহ শুরু হয়। অনেক সময় এই রোগে স্নায়ুর আর বার্তা আদানপ্রদান করতে পারে না। মস্তিষ্কে সঙ্কেত পাঠাতেও পারে না। ফলে স্পর্শের অনুভূতি চলে যাওয়া, প্যারালাইসিস, পেশীর ব্যথা, পেশীর খিঁচুনি, ব্লাডার এবং বাওয়েল সিনড্রোমও দেখা দেয় রোগীর।