রেলের সমন্বয়ের অভাবে চূড়ান্ত হয়রানির শিকার যাত্রীরা। যাত্রীদের তরফে এই অভিযোগ করে বলা হয়েছে, নতুন করে ঘোষিত ৮০টি স্পেশ্যাল ট্রেন শনিবার অর্থাৎ আজ থেকে চলার কথা। যার মধ্যে হাওড়া-ইন্দোরের মাঝে স্পেশ্যাল একটি ট্রেন রয়েছে। গত ১০ সেপ্টেম্বর থেকে ট্রেনগুলির টিকিট দেওয়া শুরু হয়। অথচ টিকিট বিক্রির পর বাতিল করা দেওয়া হয় ট্রেনটি।
ট্রেন বাতিলের ঘটনায় যখন জেরবার যাত্রীরা, তখন আয় হচ্ছে না জানিয়ে চালু হওয়া বারবিল-জনশতাব্দী এক্সপ্রেস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দিল রেল। ফলে চরম অসুবিধার মধ্যে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। অভিযোগ, দুই রাজ্যের মধ্যে সংযোগের উপায় রেলই। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতির নামে রেল ট্রেন চালানো বন্ধ রেখেছে। রাজ্য ইতিবাচক ভূমিকা নিলেও রেল উদাস থাকায় বিপদে পড়ছেন যাত্রীরা। রেল এখন পণ্য পরিবহণে বেশি জোর দিচ্ছে। লকডাউনে আয় কমলেও পরে তা বাড়ে। অথচ যাত্রী পরিবহণের থেকে রেলের আয় ২৭ হাজার কোটি টাকা।
রেল অবশ্য সাফাই গেয়ে জানিয়েছে, সঠিক তথ্য যথা সময়ে না আসায় বাতিল করা হয় ট্রেন। ট্রেনটির টিকিটের চাহিদা থাকায় ওয়েটিং লিস্ট বেড়ে যায়। টিকিট কেটে ফেলা বহু যাত্রী ট্রেন বাতিলের খবর না জানায় শনিবার হাওড়া স্টেশনও পৌঁছে যান। বাতিলের খবর পেয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ তাঁরা। রাজ্য লকডাউন প্রত্যাহার করার পরও ট্রেন না চলায় তাঁরা অভিযোগ তোলেন, দু’দিন আগে রাজ্যের ঘোষিত নীতি রেল জানে না কেন?
এই উদাসীন মনোভাবের জন্য বহু যাত্রীকে চূড়ান্ত ভোগান্তিতে পড়তে হল। শনিবার লকডাউন না হওয়া সত্ত্বেও বাতিল পদাতিক এক্সপ্রেসও চালায়নি রেল। ফলে উত্তরবঙ্গে পৌঁছতে পারেননি নিটের বহু পরীক্ষার্থী। এর জন্য রেলের দায়িত্বজ্ঞানহীনতা নিয়েও অভিযোগ ওঠে। বিহার, ওড়িশা, মহারাষ্ট্র-সহ নানা রাজ্যে পরীক্ষার জন্য স্পেশ্যাল ট্রেন চালালেও, পশ্চিমবঙ্গের ভাগ্যে শিকে ছেঁড়েনি।