গত মার্চ মাসের শেষে করোনা অতিমহামারী ঠেকাতে দেশ জুড়ে লকডাউন শুরু হয়। তারপর এপ্রিল থেকে জুলাই, পরপর চারমাস দেশে কমেছে শিল্পোৎপাদন। এরপর শুক্রবার কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, জুলাইতে শিল্পোৎপাদন কমেছে ১০.৪ শতাংশ।
দেশে শিল্পোৎপাদন কী পরিমাণে হয়েছে, তা স্থির করার জন্য একটি সূচক আছে। তার নাম ইনডেক্স অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাকশন। খনি, ম্যানুফ্যাকচারিং ও বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ অনুযায়ী ওই সূচক ওঠানামা করে। সরকারি তথ্যে জানা গিয়েছে, ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টরে উৎপাদন কমেছে ১১.১ শতাংশ। খনি ক্ষেত্রে উৎপাদন কমেছে ১৩ শতাংশ। বিদ্যুৎ উৎপাদন কমেছে ২.৫ শতাংশ।
এরই মধ্যে আশঙ্কার কথা শুনিয়েছে রেটিং এজেন্সি ক্রিসিল। ওই সংস্থার পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার ‘মাইনাস নাইন নাউ’ নামে একটি রিপোর্ট পেশ করা হয়। তাতে বলা হয়েছে, আগে ভারতের অর্থনীতি নিয়ে যে ভবিষ্যৎবাণী করা হয়েছিল, এখন তার সংশোধন করা হল। কারণ ভারতে কোভিড সংক্রমণ এখনও শীর্ষে পৌছায়নি। তাছাড়া সরকার অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য বড় কোনও আর্থিক প্যাকেজের ঘোষণাও করেনি। তাই অর্থনীতির যতদূর সংকোচন হবে বলে আগে আশঙ্কা করা হয়েছিল, বাস্তবে সংকুচিত হবে তার চেয়ে বেশি।
চলতি আর্থিক বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে, অর্থাৎ এপ্রিল থেকে জুন মাসের মধ্যে অর্থনীতি সংকুচিত হয়েছে ২৩.৯ শতাংশ। ক্রিসিল ভবিষ্যৎবাণী করেছিল, সংকোচন হবে ২৫ শতাংশ। দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে অর্থাৎ জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে অর্থনীতি ১২ শতাংশ সংকুচিত হবে বলে মনে করে ক্রিসিল।