কংগ্রেসে সাংগঠনিক স্তরে বড়সড় রদবদল ঘটালেন সোনিয়া গান্ধী। দলের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল বর্ষীয়ান নেতা গুলাম নবি আজাদকে। আসামের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈয়ের পুত্র গৌরব গগৈয়ের পরিবর্তে বাংলার পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হল জিতিন প্রসাদকে।
শুক্রবার রাতে কংগ্রেসের শীর্ষ সংগঠনে রদবদল সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সেখানে দেখা যাচ্ছে, শুধু সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে অপসারণ নয়, হরিয়ানায় এআইসিসির পর্যবেক্ষক পদ থেকেও একদা ‘আস্থাভাজন’ হিসেবে পরিচিত জম্মু-কাশ্মীরের এই নেতাকেও সরিয়ে দিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। পরিবর্তে বিবেক বনসলকে হরিয়ানায় দলের নতুন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। যদিও নবগঠিত কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটিতে নাম আছে আজাদের।
কংগ্রেসের সাম্প্রতিকতম এই সাংগঠনিক রদবদলে দলের অন্দরে সর্বাধিক গুরুত্ব বেড়েছে রণদীপ সিং সুরজেওয়ালার। সাধারণ সম্পাদক করে তাঁর উপরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে কর্নাটকে দলের ভার। এছাড়া সোনিয়াকে পরামর্শ দেওয়ার জন্য ছ’সদস্যের একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটিতে নাম আছে রাহুল গান্ধীর অনুগত হিসেবে পরিচিত এই নেতার। তিনি ছাড়া একে অ্যান্টনি, আহমেদ প্যাটেল, অম্বিকা সোনি, কেসি বেনুগোপাল এবং মুকুল ওয়াসনিক ওই কমিটিতে স্থান পেয়েছেন।
এদিকে, সোনিয়া গান্ধীকে লেখা বিতর্কিত চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে অন্যতম নেতা ‘বিক্ষুব্ধ’ জিতিন প্রসাদের প্রমোশন হয়েছে। কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির স্থায়ী সদস্য করা হয়েছে তাঁকে। একইসঙ্গে বাংলা এবং আন্দামান ও নিকোবরে দলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। এতদিন গৌরব গগৈ বাংলার দায়িত্বে ছিলেন। উত্তরপ্রদেশে দলের দায়িত্বে বহাল থাকছেন অন্যতম সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, তেলেঙ্গানায় নতুন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক করা হয়েছে রাহুল গান্ধীর ঘণিষ্ঠ মণিকম টেগোরের মতো তরুণ নেতাকে।
পবণকুমার বনশলের উপরে প্রশাসনের দায়িত্ব দিয়েছেন সোনিয়া। এছাড়া এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক হরিশ রাওয়াত পাঞ্জাব, তারিক আনোয়ারকে কেরালা ও লাক্ষাদ্বীপ, জীতেন্দ্র সিং আসাম এবং ওমেন চান্ডিকে অন্ধ্রপ্রদেশে দলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
পাঁচজন শীর্ষ স্থানীয় কংগ্রেস নেতাকে এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। গুলাম নবি আজাদ ছাড়াও এই তালিকায় নাম আছে মল্লিকার্জুন খার্গে, মতিলাল ভোরা ও অম্বিকা সোনির।