প্রায় বিগত এক মাস ধরে বেলাগাম করোনা সংক্রমণ শুরু হয়েছে ত্রিপুরায়। রোজই উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যটিতে কমবেশি ৫০০ জন কোভিডে আক্রান্ত হচ্ছেন। শুক্রবার পর্যন্ত রাজ্যে মৃত্যু হয়ে গিয়েছে ১৭২ জনের। এই পরিস্থিতিতে ত্রিপুরার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে স্বতঃপ্রণোদিত জনস্বার্থ মামলা করল হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি এএ কুরেশি ও বিচারপতি শুভাশিস তলাপাত্রর বেঞ্চে শুক্রবার এই মামলার শুনানি হয়। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হওয়া শুনানিতে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ এক সপ্তাহের মধ্যে রাজ্য সরকারের রিপোর্ট তলব করেছে।
ত্রিপুরার অ্যাডভোকেট জেনারেল অরুণকান্তি ভৌমিক সংবাদমাধ্যমে বলেন, হাইকোর্ট রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য জানতে চেয়েছে। বৃহস্পতিবার ত্রিপুরায় এসেছিল দুই সদস্যের কেন্দ্রীয় টিম। আগরতলা বিমানবন্দরে নেমে রাজ্যের স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা। সরকারের তরফে কেন্দ্রীয় দলকে বোঝানোর চেষ্টা হয়, মহাকরণ এবং আটটি জেলার প্রশাসন সর্বোত ভাবে চেষ্টা করছে সংক্রমণ ঠেকানোর। সূত্রের খবর, সে কথায় চিঁড়ে ভেজেনি। আগরতলা-সহ সমগ্র ত্রিপুরার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় টিম।
ত্রিপুরা সরকারের শীর্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের একাধিক কর্মী রাজ্য ভিত্তিক তুলনামূলক তথ্য জোগাড় করতে শুরু করেছিলেন। ঠিক ছিল, ত্রিপুরার সাংসদ তথা রাজধানী আগরতলার জিবি হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান প্রতিমা ভৌমিককে দিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করানো হবে। কিন্ত কেন্দ্রীয় দল ও হাইকোর্টের মামলার পর এতটাই চাপ পড়ে গিয়েছে বিপ্লব দেব সরকারের উপর যে, নির্ধারিত সাংবাদিক বৈঠকও স্থগিত করে দিতে হয়।