লকডাউনে কাজ নেই। তাই কাজ খুঁজতে বেরিয়েছিলেন তিনি। তবে কে জানত, হাতে ‘বিসমিল্লা’ নামের উল্কি থাকায় সেই হাতটাই বাদ চলে যাবে তাঁর! হ্যাঁ এমনটাই ঘটেছে ২৮ বছর বয়স ইখলাখ সালমানির সঙ্গে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন রীতিমতো ভাইরাল পেশায় নাপিত ইখলাখ।
লকডাউনে কাজ নেই, তাই গত ২৩ আগস্ট সাহারানপুর থেকে দুই চেনা ব্যক্তির সঙ্গে পানিপথে রওনা হন ইখলাখ। ৩৩ কিলোমিটার চলার পর কৃষ্ণপুর অঞ্চলের মাথাগোজার ঠাঁই না পেয়ে আশ্রয় নেন এক পার্কে। রাতের অন্ধকারে তার নাম পরিচয় জানতে চায় দুই যুবক। অভিযোগ, নাম বলতেই ব্যাপক মার খান তিনি। এখানেই শেষ নয়। অভিযোগ মারের চোটে দীর্ঘক্ষণ
অচৈতন্য থাকার পর সামনের এক বাড়িতে রক্তাক্ত অবস্থাতেই জল চাইতে যান তিনি। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাস এমনই যে, সেই বাড়ির দরজা খোলে ওই দুই যুবকই। এবার আরেক প্রস্থ অত্যাচারের পালা। প্রাণভিক্ষা চেয়েও লাভ হয়নি। ইখলাখকে তুমুল অত্যাচার করে ওই দুই যুবক।
তাদের চোখে পড়ে ইখলাখের হাতে একটি ট্যাটুতে লেখা ৭৮৬। এই সংখ্যাটি ‘বিসমিল্লা’ শব্দেরই প্রতিরূপ। দেখেই ওই দুই যুবক সিদ্ধান্ত নেয় তার হাত কেটে দেওয়ার। ইখলাখকে ফেলে আসা হয় কিষাণপুর রেল স্টেশনের ধারে। পরদিন জ্ঞান ফিরতে ইখলাখ পথচারীদের সাহায্যে বাড়িতে খবর দেন। অভিযোগ দায়ের করা হয় পানিপথের চাঁদনি বাগ স্টেশনে।
‘হাতে উল্কি করে ঈশ্বরের নাম লিখেছিল। কল্পনাতেও ভাবতে পারেনি, এই কারণে হাতটাই কেটে ফেলবে ওরা। ও জাতিতে মুসলিম শুনেই ওর হাতটা কেটে দেয় ওরা।’ বলেন ইখলাখ সলমনির দাদা। তাঁর বক্তব্য, ‘আমার ভাইয়ের জীবনটা ধ্বংস হয়ে গেল। হয়তো কোনওদিনই আর কোনও কাজ করতে পারবে না ও। আমি এর বিচার চাই।’ তিনি আরও জানাচ্ছেন, ওই ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকাবাসীর থেকে ঘটনার সত্যতা জেনেছেন তিনি।