ক্রমশই যেন ধর্ষক, খুনী, দুর্নীতিবাজদের ‘স্বর্গ রাজ্য’ হয়ে উঠছে উত্তরপ্রদেশ। এই করোনা মহামারির মধ্যেই এবার সামনে এল যোগীরাজ্যে হওয়া এক নয়া দুর্নীতির কথা। শুধু তাই নয়, এই অভিযোগ তুলেছেন খোদ এক বিজেপি নেতা। যা নিয়ে বেজায় অস্বস্তিতে যোগী আদিত্যনাথের সরকার।
প্রসঙ্গত, করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে প্রত্যেক ঘরে ঘরে সার্ভে করার জন্য পঞ্চায়েত ও ব্লকগুলিতে দু’টি করে পালস অক্সিমিটার এবং থার্মাল গান কেনার নির্দেশ দিয়েছিল সরকার। তবে বিভিন্ন জেলার পঞ্চায়েত ও পুরসভাগুলিতে সেই পালস অক্সিমিটার কেনা হয়েছে কমপক্ষে পাঁচ গুণ দামে। একাধিক বিজেপি বিধায়ক ও পদাধিকারীদের কাছ থেকেই দুর্নীতির এই অভিযোগ পাওয়ার পর নড়েচড়ে বসেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। দুর্নীতি মামলায় দু’জন আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। একই সঙ্গে একটি বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার।
যে বিজেপি বিধায়ক এই দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম সুলতানপুরের বিধায়ক দেবমণি দ্বিবেদী। চিঠি লিখে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে দুর্নীতিতেই নালিশ করেছেন ওই বিজেপি বিধায়ক। অভিযুক্তদের তালিকায় নাম রয়েছে সুলতানপুরের জেলাশাসক সি ইন্দুমতির। নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খারিজ করে তিনি বলেছেন, এই বিষয়ে আমি কিছু জানি না। বিধায়ক আমার সঙ্গে একবারও কথা বলেননি। সমস্ত হিসেব আমার কাছে রয়েছে, কেউ খতিয়ে দেখতে চাইনি। জেলা প্রশাসনের ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করার উদ্দেশ্যে এই সব অভিযোগ তোলা হয়েছে।
এ নিয়ে বিরোধীরাও ইতিমধ্যেই আসরে নেমে পড়েছে। আম আদমি পার্টির রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিং দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন। টুইটে অনলাইন শপিং সাইট বিক্রি হওয়া থার্মাল গান ও পালস অক্সিমিটার-এর ছবি লাগিয়েছেন তিনি। সঙ্গে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন, ‘যোগীজি অনলাইনে কিনলে পালস অক্সিমিটার ৮০০ টাকা এবং থার্মাল গান ১৮০০ টাকা। তাহলে সুলতানপুরের জেলাশাসক কিভাবে ৯৯৫০ টাকা দিয়ে কোভিড সার্ভের কিট কীভাবে কিনলে? এখানে কাটমানি কে খেয়েছে? মনে রাখবেন করোনার সময় দুর্নীতি শ্মশানে দালালি নেওয়ার সমান।’