২০১৪ সালে হিন্দুত্বের তাস খেলেই প্রথম বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। এবার ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে ফের হিন্দুত্বকে হাতিয়ার করেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোটযুদ্ধে নামছে বিজেপি। বৃহস্পতিবার রাজ্য বিজেপির ভার্চুয়াল ‘কার্যকারিণী সভা’য় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার কথায় তাঁর স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলেছে। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগও করেছেন তিনি। সেই সমস্ত অভিযোগের পালটা জবাব দিতে গিয়ে তীব্র সমালোচনায় সরব হল তৃণমূল।
রামমন্দিরের ভূমিপুজোর দিন রাজ্যে লকডাউনের সিদ্ধান্তকে ‘হিন্দুবিরোধী’ বলে তোপ দেগেছিলেন নাড্ডা। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, যারা বাংলা ভাষাকেই ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দেয় না, রবীন্দ্রনাথের নোবেল চুরির কিনারা করতে পারে না, তারা বাংলাকে কী করে বুঝবে? তাঁর কথায়, ‘ওদের রবীন্দ্রনাথের প্রতি ভক্তি, দেশভক্তি সমস্তটাই লোক দেখানো।’ তৃণমূলের মহাসচিবের মতে, ‘এঁদের এ থেকে জেড, সব নেতাই একই ধরনের কথা বলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে রাজনীতিটা করেন, তা সবাইকে নিয়ে। বাংলার সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, গণতান্ত্রিক অধিকার তাকে সুরক্ষিত করার জন্য তিনি লড়াই করছেন, সংগ্রাম করছেন।’ তাঁর কথায়, ‘আমরা মানুষের জন্য রাজনীতি করি। মানুষকে উপেক্ষা করার রাজনীতি আমরা করি না।’
সরকারি সংস্থা বেসরকারিকরণেরও তীব্র প্রতিবাদ করেছেন পার্থ। বলেন, ‘যারা রেল থেকে ভেল বেচে দিচ্ছে, কয়লাখনি, বিমান বেসরকারি হাতে দিচ্ছে, তারা নিজেদের গরিবের সরকার বলছে কী করে? আমরা যদি পরনির্ভর হয়ে পড়ি, তবে ভারত আত্মনির্ভর হবে কী করে?’ তাঁর কথায়, ‘এ রাজ্যের কতটুকু খবর ওঁরা রাখেন? বা ওনাকে কতটুকু খবর দেওয়া হয়? পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, এই সরকার সকলের সরকার, এই সরকার খেটে খাওয়া মানুষের সরকার, কৃষকের সরকার, যুব-ছাত্রের সরকার, রাজ্যের সর্বস্তরের মানুষের সরকার।’ শান্তিনিকেতনে অশান্তি নিয়ে অভিযোগের জবাবেও পাল্টা কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের মহাসচিব। বলেছেন, ‘গুন্ডারাজ তো এতদিন পর্যন্ত হয়নি। নোবেল প্রাইজ চুরি হয়ে গিয়েছে। তার সুরাহা হয়নি। রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে না হয় নাই কথা বললেন।’