বাংলা আজ যা ভাবে তা কাল গোটা ভারত ভাববে। এই মিথ নতুন করে আরও একবার প্রতিষ্ঠিত হল দেশের জনমানসে।
যেমন খুশি তেমন দর হাঁকতে পারবে না অ্যাম্বুলেন্সের চালক, মালিক বা পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা। অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া এবার থেকে বেঁধে দিতে হবে রাজ্য সরকারগুলিকে। শুক্রবার এমনই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
বস্তুত এই কাজ ইতিমধ্যেই বাংলায় করে ফেলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। প্রায় এক মাস আগে রীতিমত বিজ্ঞপ্তি দিয়ে রাজ্য সরকার অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া বেঁধে দিয়েছে।
করোনা আক্রান্ত রোগীদের নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে অ্যাম্বুলেন্স চালকরা অনেক ভাড়া চান, এই অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দায়ের হয়েছিল। তারই শুনানি হয় বিচারপতি অশোক ভূষণের ডিভিশন বেঞ্চে। সেখানে আদালত জানায়, করোনা হোক বা অন্য কোনও রোগী, অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া নির্দিষ্ট করতে হবে। এমন ভাড়া রাখতে হবে যাতে সাধারণ মানুষের কোনও সমস্যা না হয়।
তবে বাংলায় অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া বেঁধে দেওয়ার বিষয়টি আগেই সেরে রেখেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এ রাজ্যেও অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া অস্বাভাবিক হারে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সেই সব ঘটনা নজরে আসতেই স্বাস্থ্য কমিশন মারফত রীতিমত বিজ্ঞপ্তি জারি করে অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া বেঁধে দিতেই এই ধরনের অভিযোগ ওঠা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অ্যাম্বুলেন্সে মূলত সেবাযান। বাণিজ্যিক ভাবে দেশে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা চালু হলেও তা যে আর পাঁচটা যানের থেকে আলাদা তা আইনেই বলে দেওয়া হয়েছে। অথচ দেশের কোথাও কার্যত সেই আইন মানা হচ্ছিল না। অ্যাম্বুলেন্স পেতে আর তার ভাড়া দিতে কার্যত পকেট খালি হয়ে যাওয়ার জোগাড় হচ্ছিল আমজনতার। এবার সেই লুটপাঠেই পড়ে গেল দাঁড়ি। বাংলায় আগেই এই লুঠ বন্ধ হয়েছে, এবার গোটা দেশেও বন্ধ হবে।