দক্ষিণ প্যাঙ্গংয়ের পাহাড় চূড়াগুলোর দখল নিতে না পেরে আরও আগ্রাসী হয়ে উঠেছে চীনের বাহিনী। দক্ষিণে চুসুল, মলডোর কাছে ফের চীনা সেনার তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে। প্যাঙ্গং হ্রদের উত্তর সীমায় ৩ নম্বর ফিঙ্গার পয়েন্টের কাছে নতুন করে সামরিক কাঠামো তৈরিতে লেগে পড়েছে তারা। ট্রাকে চাপিয়ে সামরিক সরঞ্জাম নিয়ে এসে মজুত করা হচ্ছে। নতুন উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছে এমনটাই।
১৫ জুন গালওয়ানের ১৪ নম্বর পেট্রোলিং পয়েন্টে দু’দেশের সেনার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পরে গালওয়ান উপত্যকা, গোগরা, হটস্প্রিং, দেপসাং সমতলভূমিই টার্গেট হয়ে উঠেছিল চীনের। গালওয়ান নদী সংলগ্ন এলাকায় ক্যাম্প খাটিয়ে বসে গিয়েছিল ড্রাগনেরা। কিন্তু এখন নতুন উপদ্রব শুরু হয়েছে প্যাঙ্গং হ্রদ ও তার সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায়। ভারতীয় সেনা সূত্র জানাচ্ছে, উত্তর প্যাঙ্গংয়ে এর আগে চীনের বাহিনীকে এতটা সক্রিয় হতে দেখা যায়নি। কিন্তু ২৯-৩০ আগস্ট রাতে দক্ষিণ প্যাঙ্গংয়ে তাদের অভিযান ব্যর্থ হওয়ার পর থেকেই উত্তর সীমায় তাদের তৎপরতা বহুগুণে বেড়ে গেছে।
গত ২৯ জুলাই উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছিল প্যাঙ্গং হ্রদের উত্তরে সাঁজোয়া গাড়ি, ট্রাক নিয়ে চলাফেরা করছে চিনের বাহিনী। ৭ সেপ্টেম্বরের পর থেকে দেখা গেছে, ফিঙ্গার পয়েন্ট ৪ ও ৫ এর কাছে সামরিক কাঠামো তৈরি করছে লাল সেনা। ট্রাকে চাপিয়ে জিনিসপত্র আনানেওয়া করা চলছে। সেনা বহরও আগের থেকে বেড়েছে।
উপগ্রহ চিত্রে আরও দেখা গিয়েছে, কালা টপের নীচেই যুদ্ধট্যাঙ্ক সাজিয়ে বসেছে চীনের সেনা। ভারী ও হাল্কা দু’রকমের যুদ্ধট্যাঙ্কই রয়েছে তাদের সামরিক বহরে। অন্যদিকে, প্যাঙ্গং হ্রদ বরাবর চুসুল ও স্প্যানগুর সো এলাকায় টি-৯০ ভীষ্ম ও টি-৭২ যুদ্ধট্যাঙ্ক সাজিয়ে বসে গেছে ভারতের বাহিনী। তাদের নিশানা চীনের ট্যাঙ্ক রেজিমেন্টের দিকে। সেনা সূত্র জানাচ্ছে, কম পাল্লার মধ্যেই মুখোমুখি যুদ্ধট্যাঙ্ক নিয়ে তৈরি দুই দেশের বাহিনীই। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, প্যাঙ্গং হ্রদের সংলগ্ন পাহাড়ি খাঁজ বা ফিঙ্গার পয়েন্টগুলো চীনের নজরে রয়েছে। পাহাড়ি খাঁজে নিজেদের অধিকার কায়েম করতে পারলে আকসাই চীন থেকে প্যাঙ্গং অবধি এলাকায় তাদের সামরিক পরিকাঠামো গড়ে তুলতে পারবে চীন।