ব্রিটিশ-সুইডিশ ফার্ম অ্যাস্ট্রজেনেকা আপাতত স্থগিত রেখেছে ট্রায়াল৷ কারণ অক্সফোর্ডের টিকা নেওয়ার পরে স্বেচ্ছাসেবকরা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। টিকার ইঞ্জেকশনে কী ধরনের প্রতিক্রিয়া হয়েছে স্বেচ্ছাসেবকদের শরীরে সে ব্যাপারে এখনও মুখ খোলেনি তারা। এদিকে এর প্রভাব পড়েছে ভারতেও। অ্যাস্ট্রজেনেকা টিকার ট্রায়াল বন্ধ করলেও ভারতে অক্সফোর্ডের টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ থামায়নি সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া। যে কারণে বুধবার রাতে সেরামকে শো-কজ নোটিশ পাঠায় ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া।
সেরামকে পাঠানো নোটিশে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল ভি জি সোমানি জানতে চেয়েছেন, নিরাপত্তার কারণে যেখানে টিকার ট্রায়াল বন্ধ করে দিয়েছে অ্যাস্ট্রজেনেকা সেখানে কীভাবে এখনও টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চালিয়ে যাচ্ছে সেরাম।
ড্রাগ কন্ট্রোলের বক্তব্য, যে কোনও টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগে যদি স্বেচ্ছাসেবকদের শরীরে সামান্যতমও প্রতিক্রিয়া দেখা যায় তাহলে সঙ্গে সঙ্গেই সেই ট্রায়াল বন্ধ করে দেওয়াই নিয়ম। সেরাম সেখানে হাজার জনেরও বেশি মানুষের শরীরে টিকার ইঞ্জেকশন দিচ্ছে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্বের চূড়ান্ত ট্রায়ালে রয়েছে তারা। এমন পরিস্থিতিতে ঝুঁকি নেওয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
ড্রাগ কন্ট্রোলের পাঠানো নোটিশের জবাবে আজ সেরাম জানিয়েছে, সরকারের সমস্ত নির্দেশ মেনে চলতে তারা বাধ্য। সংস্থার সিইও আদর পুনাওয়ালার দাবি, ভারতে অক্সফোর্ডের ফর্মুলায় তৈরি কোভিশিল্ড টিকার কোনও খারাপ প্রভাব এখনও দেখা যায়নি। তাই টিকার প্রয়োগ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
সেরাম জানিয়েছে, দেশের মোট ১৭টি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে টিকার ট্রায়াল হচ্ছে। যার মধ্যে রয়েছে, দিল্লীর অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল কলেজ (এইমস), পুণে বি জে মেডিক্যাল কলেজ, পাটনার রাজেন্দ্র মেমোরিয়াল রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল কলেজ, চণ্ডীগড়ের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ ইত্যাদি।