৪ আগস্টই বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল বেইরুট। যার স্মৃতি এখনও তাজা। তবে এক মাস আগের সেই ক্ষত না শুকাতেই আবারও বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল লেবাননের রাজধানীতে। আগুন লাগল সেই একই বন্দরে। আগুন লাগার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। দেশের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তেল ও টায়ার রাখার গুদাম থেকে এই আগুনের সূত্রপাত। আর্মি হেলিকপ্টার ইতিমধ্যেই সে জায়গায় গিয়ে আগুন নেভানোর কাজে লেগে পড়েছে। তবে এবারে সরাসরি প্রশ্ন উঠছে সরকারের দিকে। মানবাধিকার গবেষক ওমর নাশাবে টুইট করে লিখেছেন, ‘এটা কোন দেশে বাস করি আমরা? এক মাস আগেই এরকম ঘটনা ঘটল! বিচারব্যবস্থা কি নিষ্ক্রিয়? সরকার কোথায়? দায়িত্ব কে নেবে?’
প্রসঙ্গত, ৪ আগস্ট রাতের পর পর দু’টি বিস্ফোরণের কারণ হিসেবে বলা হয়েছিল, বন্দরের গুদাম ঘরে ছ’বছর ধরে মজুত ছিল ২,৭৫০ টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট! আর তাতে আগুনের ফুলকি পড়তেই বিস্ফোরণ। ছত্রাক আকৃতির বিশাল ধোঁয়ার কুণ্ডলী। তারপরই সর্বগ্রাসী আগুন ঝলসে ওঠে। সঙ্গে বিকট আওয়াজ। নিমেষে প্রায় ধ্বংসস্তূপ লেবাননের রাজধানী বেইরুটের বিরাট অঞ্চল। মৃত কমপক্ষে ১০০। আহত ৪,০০০–এর বেশি। অনেকে এখনও নিখোঁজ। বন্দর এলাকার রাস্তায় মৃতদেহ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছিল। হাসপাতালগুলোয় তিল ধারণের জায়গা ছিল না। বেইরুটের বিস্ফোরণের তীব্রতা টের পাওয়া গিয়েছিল ১৫০ মাইল দূরের সাইপ্রাস থেকে। রিখটার স্কেলে ৩.৩ মাত্রার ভূমিকম্পের সমান মাপের কম্পন! একেই সে দেশে করোনার কারণে অর্থনীতির অবস্থা শোচনীয়। দেশের অর্ধেক জনসংখ্যা দারিদ্রে ধুঁকছে। এমন সময়ে এরকম দু’টো বিস্ফোরণের পর ফের আগুন লাগার ঘটনায় বেজায় বিপাকে পড়েছে লেবানন।