রবিবার তাঁর মারা বলে আহত লাইন জাজের বিতর্কিত ঘটনা ঘটার পরে আর সাংবাদিকদের সামনে আসেননি নোভাক জোকোভিচ। তবে নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় বিবৃতি দিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন। এ রকম একটা পরিস্থিতিতে ওই মহিলা লাইন জাজকে ফেলার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। যিনি আবার জোকোভিচের ভক্তদের রোষের মুখে পড়েছেন। তবে সার্বিয়ার তারকা তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন।
গতকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় জোকোভিচ লিখেছেন, ‘‘আমাদের সবার যেই লাইন জাজের আঘাত লেগেছে, তাঁর পাশে থাকা দরকার। উনি তো ভুল কিছু করেননি। আমি চাই, এই সময়টায় ওই লাইন জাজকে সমর্থন করুন আপনারা। ওঁর খেয়াল রাখতে হবে এখন।’’ প্রসঙ্গত, সার্বিয়ার তারকাই যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে জয়ের দৌড়ে সব চেয়ে এগিয়ে ছিলেন। কারণ তাঁর অপর দুই প্রধান প্রতিপক্ষ রজার ফেডেরার এবং রাফায়েল নাদাল এ বার খেলছেন না।
অনেকে আশা করেছিলেন জোকোভিচ যুক্তরাষ্ট্র ওপেনেই ১৮ গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের লক্ষ্য পূরণ করে ফেলবেন। পুরুষদের মধ্যে সর্বাধিক গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী রজার ফেডেরার (২০) এবং রাফায়েল নাদালের (১৯) সঙ্গে ব্যবধানটাও কমিয়ে ফেলতে পারবেন। কিন্তু সেই আশা মিটল কোথায়! চলতি মাসের শেষের দিকে অবশ্য ফরাসি ওপেন শুরু হচ্ছে। বিশ্বের এক নম্বরের কাছে তাই ফের গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের সুযোগ থাকছে।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে এই ঘটনার পরে সার্বিয়ার তারকার ভাবমূর্তি কি আগের মতো থাকবে? সাত বারের গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী জন ম্যাকেনরো কোর্টে একাধিক বার বিভিন্ন ঘটনায় বিতর্কে জড়িয়েছেন খেলোয়াড় জীবনে। তিনি মনে করেন, এই ঘটনার প্রভাব এত সহজে কাটবে না। ম্যাকেনরো বলেছেন, “নোভাক চাপে পড়ে যাওয়ার জন্যই এমন একটা কান্ড হল।” যিনি নিজেও ১৯৯০ অস্ট্রেলীয় ওপেন থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন।
ম্যাকেনরো আরও বলেছেন, ‘‘নোভাকের পছন্দ হোক বা না হোক, বাকি খেলোয়াড় জীবনে ওকে টেনিসের ব্যাড বয় হিসেবেই দেখা হবে। এটাই দেখার যে, নোভাক এই ব্যাপারটা সামলে কিভাবে ঘুরে দাঁড়ায়।” তিনি আরও যোগ করেছেন, “নোভাক যদি সব মেনে নেয়, তা হলে দ্রুত ধাক্কাটা কাটিয়ে উঠবে। ঘুরে দাঁড়াতে ওকে অনেক কিছু করতে হবে। তবে একটা কথা বলাই যায়, খেলোয়াড় জীবনে লেগে যাওয়া এই দাগটা ও মুছতে পারবে না।”