২০২১-এর নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সংযুক্ত আরব আমিরশাহী ও ইজরায়েলের মধ্যে শান্তির পথ প্রশস্থ করায় নোবেল কমিটির কাছে ট্রাম্পের নাম সুপারিশ করেছেন নরওয়ের সাংসদ ক্রিশ্চিয়ান টাইব্রিঙ্গ জেদদে। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় জুড়ে হাসির রোল। অনেকে ট্রাম্পকে কটাক্ষ করেছেন। কেটেছেন টীকা-টিপ্পনীও।
ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নরওয়ের সাংসদ জেদদে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মঞ্চে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাকিদের থেকে অনেক বেশি কাজ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সংযুক্ত আরব আমিরশাহী ও ইজরায়েলের মধ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনতে তাঁর অবদান অশেষ।’ চারবারের সাংসদ ও ন্যাটো গোষ্ঠীতে নরওয়ের প্রতিনিধি দলের চেয়ারম্যান ক্রিশ্চিয়ান টাইব্রিঙ্গ জেদদের দাবি, ট্রাম্পের দেখানো পথেই আরব দেশগুলি ও ইজরায়েলের মধ্যে শান্তি ফিরবে। উল্লেখ্য, সেপ্টেম্বর মাসের ১৫ তারিখ আনুষ্ঠানিকভাবে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করবে সংযুক্ত আরব আমিরশাহী ও ইজরায়েল। এই গোটা প্রক্রিয়াই হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের পৌরহিত্যে। এবার সৌদি আরব ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলির সঙ্গে শান্তি প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পক্ষেই সায় দিয়েছেন ট্রাম্প।
উল্লেখ্য, গত আগস্ট মাসেই কয়েক দশকের সংঘাত শেষ করে ইজরায়েলের সঙ্গে শান্তিস্থাপনে রাজি হয় আবু ধাবি। নয়া চুক্তি মোতাবেক, ইজরায়েলকে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে সংযুক্ত আরব আমিরশাহী। প্রতিদানে প্যালেস্তাইনের ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক এলাকা অধিগ্রহণ করার পরিকল্পনা বাতিল করবে ইহুদি দেশটি। উল্লেখ্য, কয়েক দশকের সংঘাতে ইতি টেনে মিশর ও জর্ডনের পর আরব দুনিয়ার তৃতীয় দেশ হিসেবে ইজরায়েলকে স্বীকৃতি দিল সংযুক্ত আরব আমিরশাহী। এর ফলে এবার থেকে তেল আভিভের সঙ্গে আন্তর্জাতিক আইন মেনে কূটনৈতিক, বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপন করতে পারবে আবু ধাবি।