চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে লজ্জাজনক হারের পরই উত্তাল হয়ে উঠেছিল গোটা বার্সেলোনা। ক্লাব ছাড়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন স্বয়ং লিওনেল মেসি। তবে সেইসময় ক্লাব প্রেসিডেন্ট জোসেপ মারিও বার্তোমেউয়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন লিওনেল মেসি। মেসির ক্ষোভের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা সেই বার্সা প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে এবার অনাস্থা প্রস্তাব আনতে সক্রিয় হয়েছেন ক্লাব সদস্যদের একটি বড় অংশ। বার্সা সদস্যদের মধ্যে সই সংগ্রহ করে জনমত তৈরি করছেন তাঁরা। এই অভিযান সফল হলে আগামী বছর নির্বাচনের আগেই দায়িত্ব থেকে সরতে হতে পারে বার্সা প্রেসিডেন্টকে।
বার্তোমেউয়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার জন্য সই সংগ্রহের এই উদ্যোগ নিয়েছেন ভিক্তর ফন্ত, জর্ডি ফেরে ও লুইস ফের্নান্দেস-আলার মতো ক্লাবের শীর্ষস্থানীয় কর্তারা। যাঁরা আগামী বছর নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন। সংবাদমাধ্যমকে তাঁরা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই বার্তোমেউয়ের বিরুদ্ধে ৭৫০০ জন সদস্যের সই সংগ্রহ করেছেন। ১৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ১৬,৫২০ জন সদস্যের সই সংগ্রহ করা গেলেই বার্সা প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা যাবে।
প্রসঙ্গত, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বায়ার্ন মিউনিখের বিরুদ্ধে বার্সা ২-৮ গোলে লজ্জাজনকভাবে পর্যুদস্ত হওয়ার পর থেকেই ক্লাবে পরিবর্তনের ডাক উঠেছে। আগামী বছর মার্চ মাসে ক্লাবের নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু তারমধ্যেই উত্তাল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল মেসি বার্সা ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা ঘোষণা করায়। ক্লাবের সব চেয়ে জনপ্রিয় ফুটবলার সরাসরি বলে দিয়েছেন, বার্তোমেউয়ের নানা সিদ্ধান্তেই তিনি প্রসন্ন নন।
মেসি জানিয়েছেন, চলতি মরসুমে বার্সেলোনাতেই খেলবেন তিনি। কিন্তু সেই ঘোষণা যে বাধ্য হয়েই করতে হয়েছে, তা গোপন করেননি তিনি। বলে দিয়েছেন, ৭০০ মিলিয়ন ইউরো দিয়ে ক্লাব ছাড়া অসম্ভব। ‘‘আমি থাকছি কারণ, প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, একমাত্র ৭০০ মিলিয়ন ইউরো দিয়েই যেতে পারি আমি। আইনি লড়াইয়ে যেতে চাই না কারণ, বার্সা আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে।’’