ফিরে এল নির্ভয়ার স্মৃতি। ইমফল-মনিপুর বর্ডারে পশ্চিম দিকে মনিপুরের ছোট গ্রাম মায়াঙ্গ ইম্ফলে গ্রামেরই এক চোদ্দ বছরের নাবালিকাকে বন্ধুবান্ধব সমেত ধর্ষণ করেছে তার প্রেমিক। মেয়েটির মৃত্যুতে এখন গর্জে উঠছে গোটা রাজ্য।
মেয়েটির ‘বয়ফ্রেন্ড’ মহম্মদ মাজা খান-সহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে আইপিসি ৩৭৬,৩০২ ধারায় পকসো মামলা রুজু করা হয়েছে।
মৃত্যুর আগে সে পরিবারের লোককে জানায়, বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গেই পালিয়ে যেতে চেয়েছিল সে। সেই কারণেই সে ঘর ছাড়ে। কিন্তু সেই বয়ফ্রেন্ডই দলবল জুটিয়ে তাকে সারারাত ধরে গণধর্ষণ করে। ঘটনায় প্রমাণিত বিজেপি শাসিত মণিপুরের নিরাপত্তাবিহীনতার কথা।
ঘটনার সূত্রপাত গত মঙ্গলবার রাতে। ওই নাবালিকা একটি ফোন পেয়ে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যায়। তার পর দীর্ঘক্ষণ সে বাড়ি না ফেরায় উদ্বিগ্ন পরিবার খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরদিন সকলে, তাকে অচৈতন্য অবস্থায় পাশের গ্রাম হেইবঙ্গ মেখংয়ের একটি পুকুরে পাওয়া যায়। তার গলায় কাপড়ের ফাঁস লাগানো ছিল। পরিবারের লোক তাকে চল্লিশ কিলোমিটার দূরে ইম্ফলের রিজিওনাল ইন্সটিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সে নিয়ে যায়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ডিস্ট্রেস সিন্ড্রোমে ভুগছিল ওই নাবালিকা।
পুলিশ জানাচ্ছে, এখনও অপরাধ কবুল করেনি মহম্মদ মাজা খান। তার দাবি, মেয়েটি তাকে বচসার মধ্যে প্রথম পাথর দিয়ে আঘাত করে। তখন সে মেয়েটিকে পাল্টা আঘাত করে। পুলিশ আপাতত পোস্টমর্টেম রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে। মনিপুর সরকারের তরফে মেয়েটির পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। পরিবারের তরফে দোষীদের সর্বোচ্চ সাজার দাবি তোলা হচ্ছে।