সরকারের ব্যর্থতা আড়াল করতে দিন কয়েক আগেই দেশের অর্থনীতির বেহাল দশার জন্য করোনা মহামারিকে দায়ী করেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। ভগবানের তৈরি করা এই বিপর্যয়ের জন্যই ভারতের অর্থনৈতিক অগ্রগতি থমকে গিয়েছে বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি। এরপরই দেশজুড়ে বিতর্ক শুরু হয়। সমালোচনা করেছিলেন খোদ অর্থমন্ত্রীর স্বামী পরকলা প্রভাকর। এবার দেশের অর্থনীতির বেহাল দশার জন্য ভগবানকে দায়ী করার ঘটনা হিন্দুত্বের অপমান বলেই তোপ দাগল মহারাষ্ট্রের শাসকদল শিবসেনা। নিজেদের দলীয় মুখপত্র সামনায় ভগবানকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার জন্য তীব্র আক্রমণ করল নির্মলা সীতারমণকে।
রবিবার সামনায় প্রকাশিত সম্পাদকীয়তে দলের মুখপত্র ও রাজ্যসভা সাংসদ সঞ্জয় রাউত কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর মন্তব্য কোন ধরনের হিন্দুত্বের পরিচয় তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। দেশের অর্থনীতির বেহাল দশা নিয়ে কোনও মন্তব্য না করার জন্য সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীরও। ওই প্রতিবেদনে তিনি লিখেছেন, ‘ভারতের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ ভগবানকে দায়ী করেছেন। তাঁর এই মন্তব্য আসলে হিন্দুত্বকেই অপমান করেছে। দেশের অর্থনীতির বেহাল দশার জন্য যদি ভগবানকে অপরাধী বলা হয় তাহলে কোনও আদালত তার শুনানি হবে? নোটবন্দী থেকে লকডাউন, দেশের অর্থনীতি পুরোপুরি পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, উনি ভগবানের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছেন। এটা কোন ধরনের হিন্দুত্ব।’
প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, ‘কিছুদিন আগেই আমাদের দেশ অর্থনৈতিক সুপার পাওয়ারে পরিণত হচ্ছে বলে দাবি করেছিলেন মোদী। কিন্তু, বর্তমানে তিনি এ বিষয়ে কোনও মন্তব্যই করছেন না। করোনা মহামারির আগে থেকেই দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়েছিল। তখনও তিনি এ বিষয়ে চুপ ছিলেন। এখনও তাঁর সরকারের অর্থমন্ত্রী ভগবানের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছেন। করোনা মহামারি ও বেহাল অর্থনীতি যদি ভগবানের ইচ্ছার ওপরে নির্ভরশীল হয় তাহলে সরকার আর সেনাবাহিনীর কী দরকার আছে? ভগবানই সবকিছু বুঝে নেবেন?’ স্বাভাবিকভাবেই এর কোনও প্রতিক্রিয়াই আসেনি বিজেপির তরফ থেকে। এ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে গেরুয়া শিবির।