করোনা অতিমারির মধ্যে দলের বয়স্ক সাংসদদের কোনও ঝুঁকি না নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো সংসদের আসন্ন অধিবেশনে উপস্থিত থাকতে না পারার কথা জানিয়ে আগেই চিঠি রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে দিয়েছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা এবং চেয়ারম্যান প্যানেলের সদস্য সুখেন্দুশেখর রায়। এবার তৃণমূলের পক্ষ থেকে ঘরোয়া ভাবে জানিয়ে দেওয়া হল, দলের যে সব সাংসদের বয়স ৬৫ বছর বা তার বেশি, তাঁরা কেউই ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে চলা সংসদের বাদল অধিবেশনে যোগ দেবেন না।
দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের সতর্কবার্তা মেনেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত ২৯ অগস্ট ‘আনলক-৪’ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব যে নির্দেশিকা জারি করেন, তার সপ্তম অনুচ্ছেদেই বলা হয়েছিল, ৬৫ বছর এবং তার বেশি বয়সের মানুষেরা, অন্তঃসত্ত্বা এবং শিশুরা যেন জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়িতেই থাকেন। সুখেন্দুবাবু যে চিঠিটি রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডুকে লেখেন, তাতে এই নির্দেশিকার একটি কপিও জুড়ে দিয়েছিলেন। জানিয়েছিলেন তাঁর বয়স ৭১, এবং তিনি কলকাতায় তাঁর বাড়িতেই রয়েছেন।
সদ্য রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচিত হওয়া সুব্রত বক্সীও আজ একই ভাবে চিঠি লিখে তাঁর এই অধিবেশনে যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে অপারগতার কথা জানিয়েছেন। তাঁর এ বারের অধিবেশনেই শপথ নেওয়ার কথা ছিল। আপাতত তা পিছিয়ে গেল বলেই তৃণমূল সূত্রে জানানো হয়েছে। রাজ্যসভায় নবনির্বাচিত আর এক বর্ষীয়ান সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী অবশ্য শুধু শপথটুকু নিতেই আসবেন। তার পরে তাঁর কলকাতায় ফিরে যাওয়ার কথা। থাকবেন না তৃণমূলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ও।