অনেকেই মনে করেছিলেন হয়তো এই বছরও ভ্যাকসিন চলে আসবে। হয়তো পরের বছর থেকে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। কিন্তু এমনটা যে হওয়ার সম্ভাবনা কম তা আরো একবার বলে দিলেন এইমস প্রধান ডাক্তার রন্দীপ গুলেরিয়া। তিনি স্পষ্ট জানালেন, ২০২১ সালেও করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে চলতে হবে দেশকে। পাশাপাশি তিনি আরো দাবি করলেন, দেশের কিছু কিছু এলাকায় করোনার সেকেন্ড ওয়েভ শুরু হয়ে গিয়েছে।
এইমস প্রধানের কথায়, ২০২১ সালেও করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে চলতে হবে দেশের মানুষকে। কারণ ভ্যাকসিন নিয়ে প্রচেষ্টা চলতে থাকলেও এই বছর সেই ভ্যাকসিন না আসার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। সেই প্রেক্ষিতে পরের বছরও সংক্রমণের আশঙ্কা থেকেই যাবে। যদিও তিনি কিঞ্চিত আশা রেখে বলেছেন, যে হারে ভ্যাকসিন প্রস্তুতির চেষ্টা চলছে, তাতে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এই বছরের শেষের দিকে ভ্যাকসিন আসার সম্ভাবনা কিছুটা হলেও থাকছে। যদিও প্রাথমিকভাবে সেটি একদম সুরক্ষিত কিনা সেটা যাচাই করতে হবে।
ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সাইন্সের প্রধান রন্দীপ গুলেরিয়া বলেন, দেশের ভাইরাস সংক্রমণ এখন ছোট ছোট শহরগুলি এবং গ্রামাঞ্চলে ঢুকে গেছে। সেই কারণেই দেশের সংক্রমণের মাত্রা কমছে না। তবে ভারতের জনসংখ্যা সেই তুলনায় সংক্রমনের মাত্রা অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় কম। কিন্তু এই জনসংখ্যার কারণেই দেশের নিজস্ব সংক্রমণের মাত্রা কমতে বেশ কিছুটা সময় লেগে যাবে। এছাড়া তিনি আরও বলেন, এই মুহূর্তে দেশের একাধিক এলাকায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ওয়েভ শুরু হয়ে গিয়েছে। সেই কারণে সংক্রমণে লাগাম টানা এই মুহূর্তে সম্ভব নয়।