ইন্টিগ্রেটেড-ট্রাইবাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি-র অ্যাসিস্ট্যান্ট এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারকে নিগ্রহের অভিযোগে বিজেপির এক বিধায়ককে গ্রেফতার করল উড়িষ্যা পুলিশ। অভিযুক্ত উড়িষ্যার ময়ূরভঞ্জ জেলার বারিপদা কেন্দ্রের বিধায়ক প্রকাশ সোরেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি সমন্বিত উপজাতি উন্নয়ন সংস্থার ওই ইঞ্জিনিয়ারকে বারিপদা সার্কিট হাউসে ডেকে পাঠিয়ে গায়ে হাত তুলেছেন।
উড়িষ্যা পুলিশের এক কর্তা জানান, নিগৃহীত ইঞ্জিনিয়ারের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিজেপি বিধায়ক প্রকাশ সোরেনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৯৪, ৩৪১, ৩২৩, ৩২৪, ৫০৬ ও ৩৪ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। ওই ইঞ্জিনিয়ার টাউন পুলিশ থানায় এই এফআইআরটি দায়ের করেছেন।
আইটিডিএ-র ইঞ্জিনিয়ার, নিগৃহীত গণপতি জেনার অভিযোগ, বারিপদা সার্কিট হাউসে তাঁর সঙ্গে স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক প্রকাশ সোরেনের দেখা হয়েছিল। বিজেপির লোকজনকে কেন কাজের বরাত দেওয়া হচ্ছে না, সে কৈফিয়ত্ তলব করেন সোরেন। বিধায়ক তাঁর কাছে অভিযোগ করেন, বেছে বেছে শুধু বিজু জনতা দলের কর্মী-সমর্থকদের কাজ দেওয়া হচ্ছ। কেন বিগত এক বছরের মধ্যে একটি টাকাও বিধায়ককে তিনি কমিশন বাবদ দেননি, সে প্রশ্নও তোলেন বারিপদার বিজেপি বিধায়ক। তার পরেই সার্কিট হাউজের মধ্যে তাঁকে নিগ্রহ করা হয়েছে বলে অভিযোগে জানা গিয়েছে।
অ্যাসিস্ট্যান্ট এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার জানান, তিনি প্রকাশ সোরেনের প্রতিটি প্রশ্নের জবাব দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। মুখের উপর জবাব দেওয়ায় বিধায়ক আরও খেপে গিয়ে গায়ে হাত তোলেন। এমনকী তাঁর শ্বাসরোধ করার চেষ্টা হয়েছিল বলেও এফআইআরে উল্লেখ করা হয়েছে। থানায় অভিযোগ হওয়া মাত্র বারিপদার বিজেপি বিধায়ককে আটক করা হয়। বিধায়কের সঙ্গেই থানায় আনা হয় তাঁর দুই সঙ্গীকে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ বিধায়ককে গ্রেফতার করে। বাকি দু-জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এর পরেই সোরেনের গ্রেফতারির বিরোধিতা করে থানায় বিক্ষোভ দেখান বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা। অবিলম্বে বিধায়ককে মুক্ত দেওয়ার দাবি জানানো হয়। থানার সামনেই রাস্তা অবরোধ করে চলে বিক্ষোভ প্রদর্শন। পুলিশ সেই বিক্ষোভ উপেক্ষা করে বিধায়ককে লোকাল আদালতে পেশ করে। যদিও আদালত বিজেপির বিধায়ককে শর্তসাপেক্ষে জামিন মঞ্জুর করে।